প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২২, ২০২৪, ১:৫৪ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ আগস্ট ৯, ২০২৩, ১:৪৫ পূর্বাহ্ণ
রাজশাহীতে ২৪০ কেজী গাঁজা মিললো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্ট্রিকার লাগানো গাড়ি
রাজশাহীতে ২৪০ কেজী গাঁজা মিললো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্ট্রিকার লাগানো গাড়ি
রাজশাহী প্রতিনিধি।।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্ট্রিকার সম্বলিত বহু মূল্যবান একটি পাজেরো ও মাইক্রো ধাওয়া করে গাড়ি থেকে মোট ২৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। সোমবার (৭ আগস্ট) ভোর ছয়টার দিকে নাটোর জেলার সিংড়া থানাধীন লালোর বাজার এলাকার একটি সড়কে অভিযান চালিয়ে মাদক সহ দুইটি গাড়ি ও তিনজনকে আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এ সময় আটক করা হয় কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী থানাধীন নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের নূর আলিম সরকার মিলন, একই ইউনিয়নের মমিনুল ইসলাম এবং কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী থানাধীন হোসাইন আহমেদকে। এদের মধ্যে হোসেন আহমেদকে চলতি বছরের মে মাসে ১১০ কেজি গাঁজাসহ আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। তবে ২৬ দিনের মাথায় কারাগার থেকে সে জামিনে বের হয়ে আসে এবং আবারও মাদক কারবার শুরু করে। আটকৃত অপর আসামি নুর আলিম সরকার মিলন এই চক্রের মূল হোতা। কুড়িগ্রাম জেলায় তার একটি টিভির শোরুম রয়েছে। মিলন বহুমূল্যবান গাড়িতে করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাদকের চালান সরবরাহ করে থাকেন। গাঁজার এই চালান কুড়িগ্রাম জেলা থেকে তিনি নাটোর, ঈশ্বর্দি, পাবনা সহ আশপাশের জেলায় সরবরাহ করেতেন বলে প্রথমিক ভাবে স্বীকার করেছেন। রাজশাহীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী বিভাগের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুর রহমান। অভিযানের বর্ণনা দিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুল রহমান জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার ভোর ৫ টা থেকে নোটর জেলার লালোর বাজার এলাকায় ওঁৎ পেতে থাকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্র অধিদপ্তরের গোয়েন্দা শাখার টিম। এসময় একটি সাদা রঙের পাজেরো জিপকে (ঢাকা মেট্রো ঘ ১১-৯০৯০) আসতে দেখে গাড়িটিকে থামতে ইশারা করা হয়। তবে গাড়িটি দ্রুত গতিতে পালাতে চেষ্ট করে। তবে ওই গাড়িটিকে ধাওয়া করে আটকানো হয়। একই সময় কালো রঙের আরও একটি হাইএস মাইক্রো (ঢাকা মেট্রো চ ১৯-৩৮৩৭) ওই পাজেরো সাথে ছিল। পরে এই দুই গাড়ি তল্লাশি করে পাজেরো জিপ থেকে ১৫০ কেজি ও মাইক্রো থেকে ৯০ কেজি, মোট ২৪০ কেজি গাঁড়া উদ্ধার করা হয়। গাঁজাগুলো দুটি গাড়িতে ৪০ টি প্যাকেটে মোড়ানো ছিল। পাজেরো জিপের গ্লাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্ট্রিকার লাগানো ছিল। গাড়িটি কার এবং ওই স্ট্রিকারের সূত্র কী তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মিলনে এর আগেও একই কায়দায় বহুমূল্যবান গাড়িতে করে মাদকদ্রব্য পাচার করেছেন। তার আরও একটি গাড়ি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে জব্দ রয়েছে। এই ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দা শাখার ডেপুটি ডাইরেক্টর জিল্লুর রহমান বাদি হয়ে নাটোর জেলার সিংড়া থানায় অভিযুক্ত তিন জনের নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েদ করেছেন।
Copyright © 2024 নগর সংবাদ. All rights reserved.