রান্নার প্রতিযোগিতায় শুঁটকি রেধে হতে পারেন লাখপতি
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ চট্টগ্রামের সুপরিচিত ব্র্যান্ড শুঁটকিজ এর নিয়মিত উদ্যোগ শুঁটকি রান্নার প্রতিযোগিতা "হুনি রাঁধনত গুনী হন"। শুধু ঘরের মানুষ আর পরিচিতমহলে নয়, এবার আপনার রান্নার দক্ষতার কথা জানবে সারাদেশ। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী খাদ্য শুঁটকিকে পুরো বাংলাদেশে তুলে ধরতে খুব শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে হুনি রাঁধনত গুনী হন সিজন-২, এবার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়নের জন্য থাকছে ১ লক্ষ টাকা পুরস্কার। সিজন-১ শুধুমাত্র চট্রগ্রাম কেন্দ্রিক করলেও এইবার চট্রগ্রাম ও ঢাকা বিভাগের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা রান্নায় পারদর্শী রাঁধুনীদের খুঁজে বের করা ও ক্যামিকেলমুক্ত শুঁটকি সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করার লক্ষ্যেই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন। সেরা রাঁধুনীর ভিন্নরকম ও সফল আয়োজনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এবারের আয়োজনেও থাকছে নতুনত্ব এবং উপভোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস। থাকছে যথারীতি অভিনব সব পর্ব, রান্নার জমজমাট লড়াই, কঠিন বিচারকাজ, সঙ্গে মনোরম দৃশ্যায়ন। তিন ধাপের এই প্রতিযোগিতার রেজিস্ট্রেশন ২৫ ফেব্রুয়ারী শুরু হয়ে ৭ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত চলবে। ১৮ বছরের বেশি বয়সী যেকোনো বাংলাদেশি নারী-পুরুষ এতে অংশ নিতে পারবেন। এ ভিজিট করে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করা যাবে। "হুনি রাঁধনত গুনী হন" সেরা রাধুনি বাছাইয়ের জন্য চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগের আলাদা অঞ্চলে ভাগ করে অনলাইনে রেসিপি জমা দেওয়ার মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিভাগের ২০ জন ও ঢাকা বিভাগের ২০ জন প্রতিযোগিকে বেছে নেওয়া হবে। বাছাই করা সেরা ৪০ জনকে নিয়ে শুরু হবে গ্রুমিং রাউন্ড। তারাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মূল স্টুডিও রাউন্ডে। এরপর প্রতিযোগিতার নানা ধাপে প্রতিযোগীদের ভিন্ন ভিন্ন ঘরানার শুটকি রান্নায় পারদর্শিতা যাচাইয়ের পাশাপাশি নতুনত্ব,বর্ণনা, রান্না পরিবেশনা, নিজেকে উপস্থাপন, বাচনভঙ্গি, বিভিন্ন পরিস্থিতি সামলানোর ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক বুদ্ধি ও দক্ষতা প্রয়োগের ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে নির্বাচিত হবেন সেরা রাঁধুনী "হুনি রাঁধনত গুনী হন" পুরস্কার হিসেবে তিনি জিতে নেবেন ১ লক্ষ টাকা। শুঁটকিজ এর স্বত্বাধিকারী মো: তৌহিদুল ইসলাম জানান শুঁটকি চট্রগ্রামের একটি ঐতিহ্য। আর এই ঐতিহ্যবাহী শুঁটকি নিয়ে দেশের একমাত্র শুঁটকি রান্না প্রতিযোগীতা "হূণি রাঁধনত গুণী হন"সিজন-২, এই প্রতিযোগীতা শুধুমাত্র একটি রান্না প্রতিযোগীতা নয়। প্রতিযোগীতার বাইরেও আমাদের আরো কিছু উদ্দেশ্য আছে। যেমনঃ ক্যামিক্যালমুক্ত ও হাইজেনিক শুঁটকি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে তোলা, শুঁটকি রান্নায় নতুনত্ব আনা, নতুন প্রজন্মের কাছে শুঁটকিকে জনপ্রিয় করে তোলা, এবং সেরা শুঁটকি রাঁধুনি খুজে বের করা। আয়োজনের পাশাপাশি এর মাধ্যমে দক্ষ রাঁধুনীদের গুণের কথা সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যাশার কথা জানান।