সিলেট প্রতিনিধি।। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় নিজ গ্রামে দাফন করা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব মুক্তিযোদ্ধা হারিছ চৌধুরীকে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) আসরের নামাজের পর সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দর্পনগরে শফিকুল হক চৌধুরী মেমোরিয়াল এতিমখানার আঙিনায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ দাফন করা হয়। শফিকুল হক চৌধুরী ছিলেন হারিছের বাবা। এর আগে সকালে ঢাকা থেকে সড়ক পথে হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে সিলেটে নেওয়া হয়। প্রথমে তার দেহাবশেষ রাখা হয় সার্কিট হাউসের সামনে। পরে দুপুর ২টার দিকে নগরের শাহী ঈদগাহ ময়দানে নেওয়া হয়। সেখানে দরগাহ মসজিদের ইমাম দোয়া করেন। এর আগে সেখানে মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিমের পরিচালনায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন হারিছের মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন চৌধুরী। বাবার জন্য দোয়া চেয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মরদেহ সিলেট আনা সম্ভব হয়নি।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ও ডিএনএ পরীক্ষার পর সরকারের নির্দেশনা পেয়ে মরদেহ সিলেটে নিয়ে আসা হয়েছে। শাহী ঈদগাহ মাঠে দোয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, নগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান লোদী কয়েস, সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী প্রমুখ। মোনাজাত করেন শাহজালাল দরগাহ মসজিদের খতিব ও ইমাম হাফিজ মাওলানা হুজায়ফা হোসাইন। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন শাহী ঈদগাহ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল মুমিন। উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু হয়।
পরিচয় গোপন করে তার মরদেহ দাফন করা হয়। অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান নামে হারিছ চৌধুরীকে ঢাকার সাভারের বিরুলিয়ায় জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যিন মাদরাসা প্রাঙ্গণে দাফন করা হয়। পরে তার মেয়ে সামিরা উচ্চ আদালতে রিট করেন। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ উত্তোলন করে ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। ডিএনএ পরীক্ষায় হারিছ চৌধুরী নিশ্চিত হওয়ার পর সরকারের নির্দেশনায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশনার আলোকে রোববার সিলেটের গ্রামের বাড়িতে মরদেহ দাফন করা হয়।