বৃহস্পতিবার ১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ সকাল ১১:১৫
শিরোনামঃ
আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবেই-প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা অপসারণ। পঞ্চগড়ে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ স্বামী পলাতক-এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ। মিরপুরে. পোশাক কারখানায় আগুনে নিহত ১৬- মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন ৬। শেখ হাসিনাসহ ২৬২ জনকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ।। নারায়ণগঞ্জ কাইকার ব্রিজের ঝোপ থেকে বস্তাবন্দি যুবতীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। খুলনায় ফিল্ম স্টাইলে দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ ২ যুবক সুবর্ণচরে অবৈধ সম্পর্কের দায়ে মাদ্রাসা সুপারসহ নারীকে আদালতে প্রেরণ  চৌহালীতে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালন দশ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ পুলিশের সদস্যকে আটক

রাসূল (সা.) তার উম্মতকে শেষ ওসিয়ত স্বরূপ বলেছেন,একটি হলো আল্লাহর পাক কোরআন,আরেকটি আমার আহলে বাইত!আহলে বাইত!!আহলে বাইত!!!

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: জুন, ২৭, ২০২৪, ১১:৫০ অপরাহ্ণ
  • ১৬৫ ০৯ বার দেখা হয়েছে

 

 

 

 

রাসূল (সা.) তার উম্মতকে শেষ ওসিয়ত স্বরূপ বলেছেন,একটি হলো আল্লাহর পাক কোরআন,আরেকটি আমার আহলে বাইত!আহলে বাইত!!আহলে বাইত!!!

বিদায় হজের ভাষণে রাসূল (সা.) তার উম্মতকে শেষ ওসিয়তস্বরূপ বলেছেন, ‘তোমাদের মাঝে আমি দুটি খুব ভারী জিনিস রেখে যাচ্ছি। এ দুটি আঁকড়ে থাকলে তোমরা কখনোই পথভ্রষ্ট হবে না। একটি হলো আল্লাহর কিতাব। আরেকটি আমার আহলে বাইত (আ.)।’ (মুসনাদে বাজ্জার, হাদিস নম্বর ৮৬৪; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নম্বর ১১১১৯।) মাওয়াদ্দাতা ফিল কুরবাকে পবিত্র কুরআনের আরেক আয়াতে ‘আহলে বাইত’ বলা হয়েছে। এ পরিভাষাটিই মুমিনদের কাছে বেশি পরিচিত। ফারসি ভাষায় একে বলা হয় ‘পাক পাঞ্জাতন’।

 

আল্লাহকে ভয় করে-এমন যে কারও জন্যই এটি বড় হতাশার কথা। আমরা জাহান্নামের এক মুহূর্তের শাস্তিও সহ্য করতে পারব না। তাহলে উপায়? বান্দা যেন হতাশ না হয়ে আশায় বুক বাঁধে তাই দয়াময় প্রভু বড় দয়া করে পরের অংশেই আশার আলো ফুটিয়েছেন। বলেছেন-‘যারা বিশ্বাসী ও সৎকর্মশীল, তারা অনাবিল শান্তির জান্নাতে প্রবেশ করবে। সেখানে তারা যা চাইবে, প্রেমময় প্রভু তাই দেবেন। এটা বিশ্বাসীদের প্রতি তাদের প্রভুর মহা অনুগ্রহ। (সূরা শুরা, আয়াত ২২।) এভাবেই হতাশার অন্ধকারে আশার আলো জ্বালেন আল্লাহতায়ালা। এ রকম আশা-হতাশার আলো-অন্ধকার খুঁজে পাওয়া যাবে কুরআনের পাতায় পাতায়।

 

নবিজির মাধ্যমে আল্লাহতায়ালা আমাদের আশার আলো দেখান। বিনিময়ে আমরা নবিজিকে কী দেব? আসলে আমাদের দেওয়া-না দেওয়ায় নবিজি (সা.)-এর কিছুই যায় আসে না। আমরা নবিজিকে দেব আমাদের জন্যই। যেই জান্নাতের সুখবর তিনি আমাদের দিচ্ছেন, সে জান্নাত যেন সহজেই পেতে পারি, তাই নবিজি (সা.) আমাদের সহজ পথ দেখিয়ে দিচ্ছেন। তাও আবার নবিজির ভাষায় নয়। আল্লাহতায়ালার ভাষায়। কুরআনের শব্দে- ‘জালিকাল্লাজি ইয়ুবাশশিরুল্লাহু ইবাদাহুল্লাজিনা আমানু ওয়া আমিলুস সালিহাত। কুল লা আসআলুকুম আজরান আলাইহি ইল্লাল মাওয়দ্দাতা ফিল কুরবা। অর্থ : আল্লাহতায়ালা এভাবেই নবির মাধ্যমে মুমিন বান্দাদের খুশির খবর শোনান।

 

হে নবি! আপনি মুমিনদের বলে দিন, এই যে তোমাদের আমি সুখবর দিচ্ছি, জান্নাতের কথা বলছি-এর বিনিময় আমি কিছুই চাই না শুধু আমার কাছে আত্মীয়দের ভালোবাসা ছাড়া।’ (সূরা শুরা, আয়াত ২৩।) এ আয়াতকে আয়াতে ‘মাওয়াদ্দাহ’ বলে। মাওয়াদ্দাহ মানে বন্ধুত্ব প্রেম-প্রীতি ভালোবাসা ইত্যাদি। ‘মাওয়াদ্দাতা ফিল কুরবা’ মানে হলো কাছের লোকদের সঙ্গে প্রেম-প্রীতি ভালোবাসা রাখা। নবিজি (সা.) আমাদের যে ইমান এবং জান্নাতের সুসংবাদ দিচ্ছেন-তার বিনিময় তিনি চান, আমরা যেন তার কাছের আত্মীয়দের ভালোবাসি। কেন? এতে কী নবিজির কোনো উপকার আছে? না। এর রহস্য হলো, নবিজির কাছের মানুষদের ভালোবাসলে, তাদের অনুসরণ করলে, তাদের পক্ষে থাকলে জান্নাতে যাওয়ার পথে আমাদের আর কোনো বাধা রইল না। ‘মাওয়াদ্দাতা ফিল কুরবা’ বা নবিজির কাছের জন কারা এ প্রশ্নের উত্তরে নবিজি (সা.) নিজেই বলেছেন, তারা হলেন আলী-ফাতেমা, হাসান-হোসাইন।

 

অর্থাৎ নবিজি (সা.) এবং এ চারজনকে ভালোবাসলে তাদের অনুসরণ-অনুকরণ করলেই আল্লাহর দেওয়া সুসংবাদ জান্নাত আমাদের ভাগ্যে জুটবে। (দুররে মানছুর, ৭ম খণ্ড, ৩৪৮ পৃষ্ঠা; ইবনে কাসির, ৭ম খণ্ড, ৩৬৫ পৃষ্ঠা।) কাজি ছানাউল্লাহ পানিপথি (রহ.) বলেন, ‘রাসূলের (সা.) কাছের জনদের ভালোবাসা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কুরআনের আয়াতের মাধ্যমে এটি ওয়াজিব সাব্যস্ত হয়েছে।’ (তাফসিরে মাজহারি, ১০ম খণ্ড, ৪৪০ পৃষ্ঠা।) নবিজির কাছের জনদের আমরা এ জন্যই ভালোবাসব, তাদের দলে থাকব, যেন আমরা পথভ্রষ্ট হয়ে না যাই।

 

বিদায় হজের ভাষণে রাসূল (সা.) তার উম্মতকে শেষ ওসিয়তস্বরূপ বলেছেন, ‘তোমাদের মাঝে আমি দুটি খুব ভারী জিনিস রেখে যাচ্ছি। এ দুটি আঁকড়ে থাকলে তোমরা কখনোই পথভ্রষ্ট হবে না। একটি হলো আল্লাহর কিতাব। আরেকটি আমার আহলে বাইত (আ.)।’ (মুসনাদে বাজ্জার, হাদিস নম্বর ৮৬৪; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নম্বর ১১১১৯।) মাওয়াদ্দাতা ফিল কুরবাকে পবিত্র কুরআনের আরেক আয়াতে ‘আহলে বাইত’ বলা হয়েছে। এ পরিভাষাটিই মুমিনদের কাছে বেশি পরিচিত। ফারসি ভাষায় একে বলা হয় ‘পাক পাঞ্জাতন’।

 

হজরত উম্মে সালমা (রা.) বলেন, ‘একদিন রাসূল (সা.) আমার ঘরে বসেছিলেন। তার গায়ে জড়ানো ছিল একটি কালো চাদর। একটু পর হাসান-হোসাইন দুই ভাই আসল। নবিজি তাদের চাদরের নিচে জায়গা করে দিলেন। তারপর খাতুনে জান্নাত মা ফাতেমা এবং শেরে খোদা আলী এলেন। নবিজি তাদেরও চাদরে ঢেকে নিলেন। তারপর তিনি বললেন, হে আল্লাহ! এরা হলো আমার আহলে বাইত। এদের আপনি পবিত্র করুণ। এরাই বেশি হকদার। সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহতায়ালা সূরা আহজাবের ৩৩ নম্বর আয়াত নাজিল করে জানিয়ে দিলেন, ‘হে আহলে বাইত, আল্লাহ সব পঙ্কিলতা ধুয়ে-মুছে তোমাদের পূতপবিত্র রাখতে চান।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নম্বর ২৫৩৮৬, মুজামুল কাবির, হাদিস নম্বর ২৬০২।) হায়! বিশ্ব মুসলিম আজ কুরআনহারা। আহলে বাইত ভোলা। তাই তো নবিজির ঘোষণা অনুযায়ী তারা পথ হারিয়ে এখানে ওখানে ঠোকর খাচ্ছে। হে আল্লাহ! আপনি আমাদের কুরআনপ্রেমিক-আহলে বাইত প্রেমিক হওয়ার তাওফিক দিন। আমিন।

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০৩১  

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০৩১  
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell