রুপগন্জের কুখ্যাত সন্ত্রাসী মাদক সম্রাট ৪ ডজন মামলার আসামি মেশারফ ওরফে মোসা গ্রেফতার
মোসা বাহিনীর সক্রিয় সদস্য সন্ত্রাসী দেলোয়ার সহ গ্রেফতার
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় নেতৃত্বে মোশারফ হোসেন মোশা গ্রেফতার এড়াতে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সীমান্ত এলাকায় আত্মগোপন করেছিল। সেখান থেকে দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করছিলেন সে। বুধবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় ভূরুঙ্গামারী থেকে মোশাসহ তার সহযোগী দেলোয়ার হোসেনকে (৫২) গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, ‘গ্রেফতার ব্যক্তিদের কাছ থেকে বিদেশি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।’
র্যাব বলছে, ‘মোশা বাহিনী’ নামে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলে অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল মোশারফ হোসেন মোশা। তার নেতৃত্বে বাহিনীতে প্রায় ৮০ জন যুক্ত রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে রূপগঞ্জ ও এর আশেপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, অবৈধভাবে জমি দখল, হুমকি ও মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতো তারা।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘মোশার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, হত্যা, হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরক দ্রব্য, চাঁদাবাজি, মাদক ও প্রতারণাসহ ৪০টির বেশি মামলা রয়েছে। এসব মামালায় বিভিন্ন মেয়াদে একাধিকবার কারাভোগ করেছে সে।
র্যাব জানায়, গত ২৫ মে রূপগঞ্জের নাওড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সহিংসতার সৃষ্টি হলে মোশা বাহিনী এলাকায় শোডাউন, লোকজনকে মারধর এবং গুলিবর্ষণ করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে বাহিনীর সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে মোশাকে গ্রেফতার করা হলে বাহিনীর সদস্যরা পুলিশ সদস্যদের আহত করে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে র্যাব-১১ ও র্যাব-১৩ এর যৌথ অভিযানে বুধবার ভূরুঙ্গামারী থেকে দেলোয়ারসহ মোশাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ বিভাগের আরও খবর...