নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এনএসআই কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আদায়ের অভিযোগে হাফিজুর রহমান নামে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)- ১।
রোববার (১৯ নভেম্বর) তাকে আদালতে পাঠিয়েছে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ।
এর আগে তাকে থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
শনিবার (১৮ নবেম্বর) রাতে উপজেলার পূর্বাচল উপশহরের সুলপিনা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার প্রতারক হাফিজুর রহমান ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার পশ্চিম পুরন্দপুর এলাকার আব্দুল হকের ছেলে। বর্তমানে পূর্বাচল বাঘবের এলাকার জজ মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া বাসা থাকতেন।
ভুক্তভোগী বাচ্চু মিয়া জানান, তিনি পূর্বাচল উপশহর হেলিপ্যাড এলাকায় চা দোকানের ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। বেশ কিছুদিন ধরে প্রতারক হাফিজুর রহমান এনএসআইয়ের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে তার দোকানে এসে চা খেয়ে সময় কাটাতেন। গত ৮ অক্টোবর হাফিজুর রহমান তার দোকানে এসে জানান তার ছোট ছেলে রিফাতের নামে নারায়ণগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের ডিবিতে মামলা হয়েছে। পরে ওই প্রতারক তাকে জানান, ২৫ হাজার টাকা দিলে তার ছেলের নাম কাটিয়ে দেওয়া যাবে। পরে তিনি ওই প্রতারককে ১৫ হাজার টাকা দেন। টাকা নেওয়ার পর থেকে তাকে আর দোকানের আশপাশে দেখা যায়নি। পরে তিনি নারায়ণগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের ডিবির অফিসে যোগাযোগ করলে জানতে পারেন তার ছেলের নামে কোনো মামলা হয়নি। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি প্রতারণার মামলা করেন।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জুবায়ের হোসেন বলেন, বাচ্চু মিয়া নামে একজন ভুক্তভোগী একটি মামলা করেন এরপর থেকে তাকে গ্রেপ্তারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত ছিল। শনিবার (১৮ নভেম্বর) নুর হোসেন নামে আরেক ব্যক্তিকে ঢাকা ডিবি পুলিশ অফিসে মামলা হয়েছে বলে জানান। ঢাকা ডিবি'র ডিআইজি ইমাম হোসেনের কাছে হাজিরা দিতে হবে। না হয় ঢাকা ডিবি পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে ক্রসফায়ার দিবে বলে ভয় দেখান। পরে প্রতারক হাফিজুর রহমান নুর হোসেনকে ওই মামলা থেকে নাম কেটে দিবে বলে ৭০ হাজার টাকা দাবি করে। রাতের মধ্যে টাকা ব্যবস্থা করার কথা বলে চলে যায়। পরে রাতে দাবিকৃত ৭০ হাজার টাকা নিতে ফের নুর হোসেনের বাসায় আসেন। নুর হোসেন র্যাবকে জানালে ঘটনাস্থল থেকেই ওই প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করা হয়েছে। তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।