বালুর গদির ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রকাশ্যে দিবালোকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এক দম্পত্তিকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনার ৫ দিন পর মামলা হয়েছে।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে আহত বালু ব্যবসায়ীর ভাই গোলজার ডন বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
আহতরা হলেন, উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভা এলাকায় কালাদি এলাকার মৃত হোসেন আলীর ছেলে নুর মোহাম্মদ ও নুর মোহাম্মদের স্ত্রী খাদিজা বেগম।
আহত নুর মোহাম্মদের বড় ভাই গোলজার ডন জানান, রূপগঞ্জ উপজেলা কাঞ্চন পৌরসভার কালাদি এলাকার তাদের নিজস্ব সম্পত্তিতে একই এলাকার আমিনুল হক, নাজমুল হাসান, ফাইজুল, রিয়াজুল, সাইফুল, আওলাদ, বাবুল, খোকন, সায়েম, জহিরুল, সুমনদের সঙ্গে পার্টনারে বালুর গদি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল।
কিছুদিন আগে ওই বালুর ব্যবসায় তাদের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তাদেরকে ব্যবসায়ীক পার্টনার থেকে বাদ দেওয়া হয়। এরপর তারা তার ভাই নুর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় তার ভাই নুর মোহাম্মদের পক্ষে আদালত রায় দেন। এরপর থেকে তার ভাই ওখানেই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তবে তারা মামলার রায়কে তোয়াক্কা না করে তার ভাইয়ের বালুর গদি দখল নিতে চেষ্টা চালিয়ে আসছে।
এরই জের গত (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তার ভাইয়ের বাসায় প্রকাশ্যে দিবালোকে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমিনুল হক, নাজমুল হাসান, ফাইজুল, রিয়াজুল, সাইফুল, আওলাদ, বাবুল, খোকন, সায়েম, জহিরুল, সুমন হামলা চালায়। এসময় তার ভাই নুর মোহাম্মদকে ধারালো রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করতে থাকলে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী খাদিজা বেগম এগিয়ে আসলে তাকেও কুপিয়ে তার ডান হাতের আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এসময় তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাদেরকে পঙ্গু হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। তার ভাইকে ও ভাইয়ের স্ত্রীকে কোপানোর ঘটনার পরদিন থেকেই প্রকাশ্যে বীরদর্পে হামলাকারীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি।
এ বিষয়ে আমিনুল ও নাজমুলসহ অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, বালুর গদি দখলে নিতে নূর মোহাম্মদসহ তার বাহিনীর সদস্যরা আমাদের উপরে হামলা করে।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান বলেন, মামলার আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।