স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার জেরে সাবেক স্ত্রী আমেনাকে শায়েস্তা করতে সৎ বাবা ফরিদের হাতে খুন হয় শিশু ইয়ামিন (৮)।
শনিবার (২০ মে) দুপুরে র্যাব ১ সিপিসি ৩ এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কোম্পানি কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুলফিকার আলী।
তিনি প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, বাদীর অভিযোগপত্র ও আটক আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায়, গত ১৬ মে সকালে মধুখালীর বালির মাঠ থেকে ৮ বছরের একটি শিশুকে হত্যা করে ফেলে যাওয়ার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ছড়িয়ে পড়ে। পরে মৃতের মা আমেনা বেগম ওই মাধ্যমে জানতে পেরে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এর আগে শিশুকে না পেয়ে ১৫ মে সোমবার রাজধানীর বাড্ডা থানায় একটি জিডি করেন মা আমেনা।
পাশাপাশি পত্রিকা ও টিভিতে প্রচারিত হওয়ায় বিষয়টি চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। আসামি ধরতে থানা পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ১ এর সিপিসি ৩ এর সদস্যরা অভিযান চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (১৯ মে) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রাজধানীর গুলশান থানার নদ্দা বাজার এলাকা থেকে প্রধান আসামি ফরিদকে আটক করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ইয়ামিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করে সে। তার আরও সহযোগী রয়েছে বলে জানায়।
আটক ফরিদ লালমনিরহাট জেলার আদিতমারি থানার সার পুকুর গ্রামের মজনু হকের ছেলে।
মৃত ইয়ামিন, আমেনা বেগমের প্রথম স্বামী ফিরোজ আলম মাসুমের ছেলে। তার আরও একটি বড় ভাই রয়েছে। আমেনা তার প্রথম স্বামী ফিরোজ আলম মাসুমকে গত ৩ নভেম্বর ২০২১ সালে ডিভোর্স দেয়ার পর ছোট ছেলে ইয়ামিনসহ দ্বিতীয় স্বামী ফরিদের সঙ্গে সংসার করে আসছিলেন। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে তাদের মাঝে ঝগড়া বিবাদ চলাকালীন আমেনা দ্বিতীয় স্বামী ফরিদকেও ডিভোর্স দেয়। এরই জেরে ফরিদ তার স্ত্রীকে শায়েস্তা করতে শিশু সন্তান ইয়ামিনকে স্কুল থেকে নিয়ে বেড়ানোর কথা বলে মধুখালী এলাকায় নিয়ে আসে। সুযোগ বুঝে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বালিতে ফেলে চলে যায়।
র্যাব আরও জানায়, আটক আসামিকে রূপগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।