নগর সংবাদ-
চলছে ৭দিন ব্যাপী কঠোর লকডাউন। লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোরতায় আইনশৃংখলা বাহিনী। বাহিরে বের হলেই বাধার সম্মুখীন। দিতে হবে জবাব। ৪ঠা জুলাই রবিবার ছিল লকডাউনের চতুর্থ দিন। আজ ৫ই জুলাই সোমবার চলছে লকডাউনের পঞ্চম দিন। শহরের বিভিন্নস্থানে চেকপোস্ট ছাড়াও টহলে ছিলে সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্য। সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-নাারয়ণগঞ্জ লিংক রোড, শহরের চাষাঢ়া, ২নং রেল গেইট, খানপুর এলাকাগুলোতে সার্বক্ষনিক চেকপোস্টে বসে আছে পুলিশ সদস্যরা। তবে বিভিন্ন এলাকার শাখা সড়ক দিয়ে অপ্রয়োজনে মানুষ বের হতে চাইলেও টহলরত সেনা ও বিজিবি সদস্যের কারণে সেখানে বাধায় পড়েছেন। আবার অনেককেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের এর কাছে গুনতে হয়েছে জরিমানা। আজ লকডাউনের পঞ্চম দিনে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তাছাড়া শহরের বিভিন্ন স্থানে রয়েছিলো পুলিশের চেকপোস্ট। এছাড়াও মাঠে বিজিবি ও সেনাবাহিনী ও র্যাবের ছিল কঠোর তৎপর। সকাল থেকেই শহরের চাষাড়া এলাকায় কঠোর অবস্থানে ছিলো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সহ ম্যাজিস্ট্রেটগণ। এদিকে ৪ঠা জুলাই রবিবার দুপুরে শহরের চাষাঢ়া শহীদ মিনারের সামনে তল্লাশি কালে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে আম কিনতে বের হয়ে ম্যাজিস্ট্রেটকে মিথ্যা বলে ফেসে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের শাস্তি পান তিশান নামে একজন শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থীকে গুনতে হয়েছে ২শত টাকা এবং সর্তক করে ছেড়ে দেন ম্যাজিস্ট্রেট। এসময় সাংবাদিকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ ভিডিও করা কালীন ক্ষেপে উঠতে দেখা যায়। ওই দিন প্রথমে গাড়িটি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা জাহান। এ সময় তিশান বলেন, সে কলেজের অ্যাসাইনমেন্ট করতে বের হয়েছেন। পরে তার বাবাকে ফোন দিতে বলেন ম্যাজিস্ট্রেট। বাবাকে ফোন দিলে তিনি জানান, তার ছেলে গাড়ি নিয়ে আম কিনতে বের হয়েছেন। এর আগে ৩ই জুলাই শনিবার দুপুরে শহরের চাষাঢ়া এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে গুনতে হয়েছিলো ২ হাজার টাকা জরিমানা। ওই দিন সেই ব্যবসায়ী ব্যাক্তিগত গাড়ী নিয়ে পরিবার নিয়ে বের হয়েছিলো ঘুরতে সময় চাষাড়া শহীদ মিনারের রাস্তায় আসলে তার গাড়ী থামিয়ে দেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর ম্যাজিস্ট্রেট এর মুখোমুখি হলে তখন তাকে প্রশ্নবিদ্ধ হতে হয়। সেই ব্যবসায়ী মিথ্যা কথা বলে বাজারে অজুহাত দিয়ে পরে নিজেই ফেসে যান। এ সময় সাংবাদিকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ ভিডিও করা কালীন ক্ষেপে উঠতে দেখা যায়। এছাড়াও ছবি তুলার সময় ক্ষেপে উঠে সেই ব্যবসায়ী। এদিকে, রবিবার সকালে পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী, বিজিবি, আনসার বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে এ সভা করেন জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাইন বিল্লাহ। এ সময় সামনের দিনগুলোতে লকডাউন বাস্তবায়নে আরো কঠোরতা হবে বলে তিনি জানান। তাছাড়া এখন যারা এলাকায় জনসমাগম করছে, তাদের জন্য আইনশৃংখলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নিবে বলে জানিয়েছেন।