শারদীয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের উদ্যোগে এবং সৌমন কুমার সাহার পরিচালনায়, আজ বিকেল চারটায় লাইটহাউস ফর দ্য ব্লাইন্ড স্কুলের দৃষ্টিহীন শিশুদের নিয়ে শারদীয়া ফুলদোলায় বসন্ত উৎসব অনুষ্ঠিত হলো, এই সুন্দর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় বিধায়ক দেবাশীষ কুমার মহাশয়, এবং উপস্থিত ছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহাশয় এবং সহযোগিতা করেছেন সকল দিদিমণি।,
এবারের শারদীয়ার বসন্ত উৎসব ৮ তম বর্ষে পদার্পণ করল, কোন রং নয় কোন কেমিক্যাল না শুধুই ফুল আর ফুল, এই সকল প্রতিবন্ধী ছেলে-মেয়েদের নিয়েই দোল উৎসব কে মাতলেন শারদীয়া পরিবারের সদস্যরা, যে সকল ছেলে মেয়েরা গণ্ডির মধ্যেই আটকে থাকে, অবহেলিত পথ শিশু, দুস্থ শিশু ,অনাথ শিশুদের পাশে শারদীয়া পরিবার দাঁড়িয়ে প্রতি বৎসর তাদের কিছুটা আনন্দ দেয়ার জন্য এই উৎসব পালন করে আসছেন, প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জন শারদীয় পরিবারের সদস্যরা এই উৎসবের অংশ গ্রহণ করেন,। সারাক্ষণ গাধা চন্দ্রমল্লিকা ডালিয়া আর হরেক রকম ফুলের হোলিতে মেতে উঠলেন এই সকল শিশুরা এবং নাচে গানে, , যাহারা নিজেরা কখনোই বুঝতে পারেননি দেখতে পাননি জানতে পারেননি যে তারা কেমন পারফরমেন্স করছে সবার কাছে তারা অন্ধকারে দিন গো কাটিয়ে চলেছে।,। কিন্তু কোন অংশেই কম নয়, সব দিকেই তারা পারদর্শী, পড়াশুনা, হাতের কাজ নাচ গান প্রভৃতিতে, আজ দৃষ্টিহীন ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবেশিত নৃত্য ও দৃষ্টিহীন ছাত্রদের সংগীত পরিবেশন সকলকে মুগ্ধ করলো, এবং সবাই সবাইকে ফুলের মধ্য দিয়ে আবিরের স্বাদ মিটালেন একে অন্যকে, এই দিনটির জন্য সকল ছেলেমেয়েরা অধীর আগ্রহে দিন গুনতে থাকে ,কবে আবার আসবে বসন্ত উৎসব, শারদীয়া ফুলদোল, মাননীয় সৌমন কুমার সাহা বলেন আজকাল দোল মানে শুধুই কেমিক্যাল রং বা আবির, কিন্তু বসন্ত উৎসব তো শুধু এই বাহ্যিক রঙের দিন নয়, মনটাকে নতুন করে রাঙিয়ে নেওয়াটাতেই এই দিনটার সার্থকতা, তাই কোন কেমিক্যাল রং নয়, প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ উপহার ফুল দিয়ে বিগত বছর গুলোর মত এই বছরও ফুলদোল পালন করলাম আমরা, এর সাথে সাথে সকল শারদীয় পরিবার ,উপস্থিত সাংবাদিক বন্ধুদের ও যাহারা সহযোগিতা করেছেন সকলকে ধন্যবাদ জানালেন।, আর একটাই বার্তা দিলেন সবাই সুস্থ থাকুন আর এই সকল ছেলেমেয়েদের সুস্থ রাখুক এই কামনা করি,,।