লাইট হাউস ফর দ্য ব্লাইন্ড’ স্কুল;দৃষ্টিহীন শিশুদের সঙ্গে ১১ তম-‘শারদীয়া’র ফুলদোল অনুষ্ঠিত।
nagarsangbad24
প্রকাশিত: মার্চ, ১৪, ২০২৫, ১:৩০ পূর্বাহ্ণ
৬৫ ০৯ বার দেখা হয়েছে
লাইট হাউস ফর দ্য ব্লাইন্ড’ স্কুল;দৃষ্টিহীন শিশুদের সঙ্গে ১১ তম-‘শারদীয়া’র ফুলদোল অনুষ্ঠিত।
“সম্পা দাস,সম্পাদক, নগর টিভি, দৈনিক নগর সংবাদ, নগর সংবাদ ২৪ ডটকম “”কলকাতা বু্রো”
বসন্তের রঙে রাঙিয়ে উঠল ‘লাইট হাউস ফর দ্য ব্লাইন্ড’ স্কুল;বসন্ত উৎসব মানেই নতুন রঙে রাঙিয়ে নেওয়ার দিন। কিন্তু যখন সেই রঙ শুধুই বাহ্যিক নয়, বরং হৃদয়ের গভীর থেকে অনুভব করা যায়, তখন তার মাহাত্ম্য আরও বেড়ে যায়। ঠিক সেই ভাবনাকে সামনে রেখেই শারদীয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এই বছরও পালন করল এক অনন্য বসন্তোৎসব— ফুলদোল।
প্রতি বছরই শারদীয়া পরিবারের সদস্যরা সমাজের প্রান্তিক মানুষদের পাশে দাঁড়ায়। তাদের উদ্যোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে সেই শিশুরা, যাদের চোখে রঙের জগত অধরাই থেকে যায়। এবছরও ‘লাইট হাউস ফর দ্য ব্লাইন্ড’ স্কুলের প্রায় ৭০ জনেরও বেশি দৃষ্টিহীন শিশুদের সঙ্গে বসন্তের আনন্দ ভাগ করে নিল শারদীয়া পরিবার।
একাদশতম বর্ষে শারদীয়ার ‘ফুলদোল’; টানা দশ বছর ধরে লাইট হাউস ফর দ্য ব্লাইন্ড স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে শারদীয়া পালন করে চলেছে ‘ফুলদোল’। সাধারণত দোল উৎসব মানেই আবীর ও কেমিক্যাল রঙের রং খেলায় মেতে ওঠা।
কিন্তু দৃষ্টিহীন শিশুদের কাছে এই রঙের গুঁড়ো শুধুই একরকম— বেরঙিন। তাই কেমিক্যাল রং নয়, প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ উপহার ‘ফুল’ দিয়েই তাদের জীবনে রঙের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার এক অভিনব প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে শারদীয়া।
ফুলের কোমলতা ও সুগন্ধ যে শুধুমাত্র ছোঁয়া ও ঘ্রাণের মাধ্যমে আনন্দের অনুভূতি দিতে পারে, সেটাই এই ফুলদোল উৎসবের মূল ভাবনা। এদিন গোটা স্কুল চত্বর সেজে উঠেছিল গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, ও বিভিন্ন রঙিন ফুলের সুগন্ধে। শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষা কর্মী, অভিভাবক ও শারদীয়া পরিবারের সদস্যরা মিলে দৃষ্টিহীন শিশুদের সঙ্গে বসন্তের আনন্দে মেতে ওঠেন। সংগীত ও নৃত্যে মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা; শুধু ফুলের রঙ নয়, সংগীতের সুরেও প্রাণ পেল এই দিনটি।
কিছু দৃষ্টিহীন ছাত্রীর পরিবেশিত নৃত্য এবং দৃষ্টিহীন ছাত্রদের কণ্ঠে গাওয়া গান সকলকে মুগ্ধ করেছে। শারদীয়া পরিবারের সদস্যরাও এই উৎসবে গানের মাধ্যমে বসন্তের আনন্দ ছড়িয়ে দিয়েছেন। এক অনন্য উদ্যোগের সার্থকতা; শারদীয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি সৌমান কুমার সাহা বলেন,
“আজকের দিনে দোল উৎসব শুধুমাত্র কেমিক্যাল রঙের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে বসন্ত উৎসব হলো মনকে নতুন রঙে রাঙিয়ে নেওয়ার দিন। তাই, আমরা প্রতিবছর ‘ফুলদোল’ উদযাপন করি, যেখানে কেমিক্যাল রঙের পরিবর্তে প্রকৃতির সেরা উপহার, ফুল, ব্যবহার করা হয়।
” শারদীয়া পরিবারের এই উদ্যোগ দৃষ্টিহীন শিশুদের মনে যেমন আনন্দের রঙ ছড়িয়েছে, তেমনি সমাজের জন্য এক অনন্য বার্তা দিয়েছে— প্রকৃত রঙ চোখে দেখার বিষয় নয়, বরং অনুভবের বিষয়। কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন; এই মহতী উদ্যোগকে সফল করতে যাঁরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, তাঁদের সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে শারদীয়া পরিবার। ভবিষ্যতেও এই ভাবনাকে সামনে রেখে সমাজের অবহেলিত শিশুদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
“”সম্পা দাস,সম্পাদক, নগর টিভি, দৈনিক নগর সংবাদ, নগর সংবাদ ২৪ ডটকম “”কলকাতা বু্রো”