প্রতি বছরই শারদীয়া পরিবারের সদস্যরা সমাজের প্রান্তিক মানুষদের পাশে দাঁড়ায়। তাদের উদ্যোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে সেই শিশুরা, যাদের চোখে রঙের জগত অধরাই থেকে যায়। এবছরও ‘লাইট হাউস ফর দ্য ব্লাইন্ড’ স্কুলের প্রায় ৭০ জনেরও বেশি দৃষ্টিহীন শিশুদের সঙ্গে বসন্তের আনন্দ ভাগ করে নিল শারদীয়া পরিবার।
একাদশতম বর্ষে শারদীয়ার ‘ফুলদোল’; টানা দশ বছর ধরে লাইট হাউস ফর দ্য ব্লাইন্ড স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে শারদীয়া পালন করে চলেছে ‘ফুলদোল’। সাধারণত দোল উৎসব মানেই আবীর ও কেমিক্যাল রঙের রং খেলায় মেতে ওঠা।
ফুলের কোমলতা ও সুগন্ধ যে শুধুমাত্র ছোঁয়া ও ঘ্রাণের মাধ্যমে আনন্দের অনুভূতি দিতে পারে, সেটাই এই ফুলদোল উৎসবের মূল ভাবনা। এদিন গোটা স্কুল চত্বর সেজে উঠেছিল গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, ও বিভিন্ন রঙিন ফুলের সুগন্ধে। শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষা কর্মী, অভিভাবক ও শারদীয়া পরিবারের সদস্যরা মিলে দৃষ্টিহীন শিশুদের সঙ্গে বসন্তের আনন্দে মেতে ওঠেন। সংগীত ও নৃত্যে মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা; শুধু ফুলের রঙ নয়, সংগীতের সুরেও প্রাণ পেল এই দিনটি।
কিছু দৃষ্টিহীন ছাত্রীর পরিবেশিত নৃত্য এবং দৃষ্টিহীন ছাত্রদের কণ্ঠে গাওয়া গান সকলকে মুগ্ধ করেছে। শারদীয়া পরিবারের সদস্যরাও এই উৎসবে গানের মাধ্যমে বসন্তের আনন্দ ছড়িয়ে দিয়েছেন। এক অনন্য উদ্যোগের সার্থকতা; শারদীয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি সৌমান কুমার সাহা বলেন,