কোনো ব্যক্তি এই আইনের ধারা ৫,৬,১০, ও ১৩-১৭ এ বর্ণিত যেকোনো অপরাধ করলে বা কোনো শর্ত ভঙ্গ করলে সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা অন্যূন ৭ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এছাড়া যদি কোনো ব্যক্তি হত্যাকাণ্ড সংঘটনের উদ্দেশ্যে পিস্তল, রিভলভার, রাইফেল, শটগান বা অন্য কোনো আগ্নেয়াস্ত্র দখলে রাখেন, তবে তিনি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা অন্য যেকোনো মেয়াদের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন; যার মেয়াদ ১৪ বছর পর্যন্ত হতে পারে। আবার, কেউ আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করলে তিনি ৬ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ৫০০ (পাঁচশত) টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। লাইসেন্সপ্রাপ্ত নয় এমন লোকের নিকট হতে জেনেশুনে আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয় করলে বা এমন লোকের নিকট আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রয় করলে ৬ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ৫০০ (পাঁচশত) টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। সম্প্রতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহারের আশঙ্কা রয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের পরামর্শক্রমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রালয় ‘আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার’ সংক্রান্তে একটি নির্দেশনা জারি করে থাকেন। যেখানে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সপ্রাপ্ত সবাইকে নির্বাচনকালীন সময়ে তাদের কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র সর্ম্পকে করণীয় উল্লেখ থাকে। আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সধারী সবার উচিত সে নির্দেশনা মেনে চলা। ইতঃপূর্বে বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে অনেককে অস্ত্র উঁচিয়ে ধরে হুংকার দিতে অথবা গুলি ছুড়তে দেখা গিয়েছে যা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের নীতিমালার লঙ্ঘন এবং জননিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা বিঘ্ন করে। বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার এলাকায় যদি কেউ জনমনে ভীতি সঞ্চারের জন্য আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করে, তবে তথ্য-প্রমাণসহ দ্রুততম সময়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করুন। সর্বোপরি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বৈধ-অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে কেউ যেন দেশে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে না পারে, সে লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কমান্ডার খন্দকার আল মঈন, বিপিএম (বার), পিএসসি: পরিচালক, লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইং, র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তর।