রাজধানীর লালবাগ এলাকা থেকে এক তরুণীকে তুলে নিয়ে চারদিন আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ভুক্তভোগীকে অভিযুক্তরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি এলাকায় ফেলে রেখে যান। পরে ভুক্তভোগী বিষয়টি অন্য এক তরুণীকে জানান।
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই তরুণী ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে ওই তরুণী হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন।
এদিকে, ভুক্তভোগী তরুণীর ভাষ্য, তিনি একটি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। গত শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে বাসা থেকে প্রাইভেট পড়তে বের হয়েছিলেন। লালবাগের ১০ নম্বর গলিতে পৌঁছালে শুভ ও আলামিন নামের দু’জন তাকে তুলে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে যান। সেখানে তাকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণ করেন। চারদিন আটকে রেখে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে।
তরুণী বলেন, ‘আজ বুধবার ৫টার দিকে তারা আমাকে টিএসসিতে এনে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে বিষয়টি একজন পথচারী আপুকে জানাই। তিনি আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে (ঢামেক) নিয়ে আসেন।’
তবে লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম মোর্শেদ বলেন, ‘প্রথমে শিক্ষার্থী পরিচয় দিলেও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তিনি দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। তার বয়স ১৮, বেশিও হতে পারে। তার বাসা হাজারীবাগ এলাকায়। প্রথমে উল্টাপাল্টা তথ্য দিলেও এখন সে সত্য কথা বলছে।’
ওসি বলেন, ‘শুভ নামের এক ছেলের সঙ্গে তার পরিচয় আগে থেকেই। শুভ তরুণীকে বাসাবোর একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে শুভসহ তার আরেক বন্ধু মিলে তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘প্রথমে ওই তরুণী তার বাসা লালবাগ বললেও খুঁজতে খুঁজতে হয়রান হয়ে যায় পুলিশ। এরপর বলে তার বাসা কামরাঙ্গীরচর, সেখানেও তরুণীটির বাসা খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপর সে স্বীকার করে তার বাসা হাজারীবাগ এলাকায়। ভুক্তভোগীর পরিবারকে খবর দেওয়া হবে। পরিবারের সদস্যরা এলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এর আগে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘শাহবাগ থেকে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়। তাকে হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।’