শনিবার (১১ মার্চ) ময়মনসিংহে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন বিকেলে নগরীর সার্কিট হাউজ ময়দানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
সার্কিট হাউজ ময়দানে বিভাগীয় সমাবেশে ১২ লাখ মানুষের উপস্থিত আশা করা হচ্ছে। এটি হবে ময়মনসিংহের স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসভা, এমনটাই দাবি করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।
সরেজমিন বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দেখা যায়, মহানগরীর শিকারীকান্দা, মাসকান্দা বাসস্টেশন, চরপাড়া মোড়, রেলওয়ে স্টেশন, টাউন হল, কাঁচিঝুলি, গাঙ্গিনারপার মোড়, শম্ভুগঞ্জ, পাটগোদাম ব্রিজ মোড়, চাইনামোড়, নতুন বাজার, টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড, ত্রিশাল বাসস্টেশন, দিগাকান্দাসহ নগরীর প্রত্যেকটি মোড় ও বিভিন্ন সড়ক সাজানো হয়েছে নতুন রূপে।
১১ মার্চকে ঘিরে নাগরিক সংগঠনগুলো তাদের দাবি-দাওয়া পেশ করেছে। জন উদ্যোগ নামের সংগঠন প্রধানমন্ত্রী বরাবর ১৮ দফা এবং নাগরিক আন্দোলন নামের আরেকটি সংগঠন ২৩ দফা দাবি পেশ করেছে।
জন উদ্যোগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্ন বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তারা ১৮ দফা দাবি জানিয়েছেন।
নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমীন কালাম বলেন, নাগরিক আন্দোলনের পক্ষ থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথে ট্রেন সার্ভিসের সংখ্যা বৃদ্ধি, শিশু হাসপাতালের নির্মাণকাজ দ্রুত শুরু, বিভাগীয় নগরী স্থাপন, এসকে হাসপাতালের উন্নয়ন, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, ময়মনসিংহ-সিলেট ট্রেন সার্ভিস চালুসহ বেশকিছু বিষয়ে তিনি দাবি জানিয়েছেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত বলেন, ‘বিগত সময়ে ময়মনসিংহের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর কাছে কিছু চায়নি। নেত্রী যা অনুধাবন করেছেন তাই দিয়েছেন। আমরা তাই পেয়েছি। এবারও চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। উনি যা ভালো মনে করবেন তাই দেবেন। আমরা তাতেই খুশি।’
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক প্রাণ সঞ্চার হয়েছে। নেতাকর্মীরা জনসভা সফল করতে মাঠে কাজ করছেন। প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে বাদ্য-বাজনা সহকারে সমাবেশ যোগ দেবেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ময়মনসিংহবাসীর জন্য যা চিন্তা করেছিলেন, আমার মনে হয় তার চেয়ে অনেক বেশি আমাদের দিয়েছেন। দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা বিভাগ, সিটি করপোরেশন, শিক্ষা বোর্ড, স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো উন্নয়ন, নদী খননসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমরা যখন দাবি তুলেছি তার সব কিছুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের উপহার দিয়েছেন
তিনি বলেন, সাদা পোশাকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। জনসভার দিন শহরজুড়ে তিন হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হবে। সঙ্গে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরাও নিয়োজিত থাকবেন।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে জেলা ও বিভাগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। আমরা চেষ্টা করবো এ জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে।
এর আগে ২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর ময়মনসিংহ বিভাগ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিভাগ ঘোষণার পর ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর সার্কিট হাউজের জনসভায় ১০৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৯৩টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।