সোমবার ( ৩ অক্টোবর ) বেলা ১১টায় শহরের মিশনপাড়া এলাকায় নারায়ণগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে কুমারী দেবীকে অঞ্জলি দেয়ার মধ্য দিয়ে পূজা অর্চনা শুরু হয়। এবারের কুমারী পূজায় দেবী রূপে আসনে বসিয়ে পূজা দেয়া হয়েছে দেওভোগ ভূইঁয়ারবাগ এলাকর বিদ্যা নিকেতন হাই স্কুলের ১ম শ্রেনীর ছাত্রী ৭ বছরের কন্যা মিষ্টু চক্রবর্তী।
জানা গেছে, মিষ্টু চক্রবর্ত্তী শহরের দেওভোগ এলাকার কাশ্যপ গোত্রের দিপংঙ্কর চক্রবর্তী ও সম্পা রাণী চক্রবর্তীর মেয়ে। ঢাকঢোল ও শঙ্খ বাজিয়ে অঞ্জলি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কুমারী দেবীকে বরণ করেন ভক্তরা।
দিনটি উদযাপনে সকাল থেকেই বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে কয়েক হাজার ভক্তবৃন্দ নগরীর রামকৃষ্ণ মিশন এসে জড়ো হয়। এতে কুমারী পূজায় রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঢল নামে। এরপর দেবীর কাছে সবাই প্রার্থনা করেন। কুমারী পূজা পরিচালনা করেন নারায়ণগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী একনাথানন্দ মহারাজ।
কুমারী পূজা প্রসঙ্গে মহারাজ বলেন, স্বামী বিবেকানন্দ শারদীয় দুর্গোৎসবে এ কুমারী পূজার প্রচলন শুরু করেছিলেন। দেবীকে জাগতিকভাবে পূজা করতে শত বছর ধরে এ কুমারী পূজা পালন করা হচ্ছে। সনাতন ধর্মের নিয়ম অনুসারে দেবীকে শিশুরূপে মায়ের আসনে পূজা করা হয়।
ভক্তরা জানান, প্রতি বছর এই দিনে মায়ের পূজার অংশ নেওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকি। মায়ের পূজায় অংশ নেওয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো আমাদের সমাজ, ঘর এবং দাম্পত্য জীবন যাতে ভালোভাবে কাটে। এজন্য মায়ের আশীর্বাদ নেই।
এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আমলাপাড়া সর্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রবীর কুমার সাহা, দেওভোগ নাগমহাশয় মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক তারাপদ আচার্য্যসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ।