বিদ্যালয়ে এক দিন অনুপস্থিত থাকায় লাভলী খাতুন ও শাহানাজ আক্তার নামের দুই ছাত্রীকে ছড়ি দিয়ে পেটান শিক্ষক। এতে দুই ছাত্রীর মধ্যে একজন জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
ভুক্তভোগী লাভলী খাতুন ওই বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ও দেবীপুর গ্রামের আমিনুল ইসলামের মেয়ে। আর শাহানাজ খাতুন একই ক্লাসের ছাত্রী ও দেবীপুর গ্রামের আক্তার হোসেনের মেয়ে সে।
স্থানীয় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক শরীফুল ইসলাম বলেন, লাভলী খাতুন ও শাহানাজ খাতুন নামের ছাত্রী শারীরিক অসুস্থতার কারণে একদিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলো। আজ (বুধবার) সকালে বিদ্যালয়ে গেলে তাদের কাছ থেকে ২০ টাকা ফাইন চান শিক্ষক জসিম উদ্দীন। তারা ফাইন দিতে না পারায় ছড়ি দিয়ে বেদম প্রহার করতে থাকেন তিনি। এক পর্যায়ে লাভলী খাতুন জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তাকে পানি ঢেলে সুস্থ করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামের লোকজন ও স্থানীয় ইউপি সদস্য হিরোক হোসেন ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
ইউপি সদস্য হিরোক বলেন, শুনেছি দুই ছাত্রীকে স্কেল দিয়ে পিটিয়েছেন শিক্ষক। একটা মারেই নাকি এক ছাত্রী মাথা ঘুরে পড়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বসি।
এব্যাপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল বাকী বলেন, আমি কিছুই জানতাম না। গাংনীতে ছিলাম। খবর পেয়ে স্কুলে এসেছি। আমার সঙ্গে স্থানীয় ইউপি মেম্বর আছেন। এছাড়াও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আছেন, একটা সুরাহা হয়ে যাবে।
বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতির জন্য ২০ টাকা করে ফাইন নেওয়া ও ছড়ি ব্যবহার করে মারধরের কোনো অনুমোদন আছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এসব ব্যাপারে কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া আছে। ফাইন নেওয়ার কোনো বিধান নেই। আমি এই বিষয়ে কোনো অনুমোদনও দিইনি।
এব্যাপারে ডিজিএমসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের মোবাইল ফোনে বারবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। অভিযুক্ত শিক্ষক জসিম উদ্দীনেরও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।