সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) যে ঘটনা ঘটেছে তার জন্য নিজে খুবই দুঃখিত বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি বলেছেন, শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তান। আমরা তাদের ছেড়ে যেতে পারি না। আমরা তাদের মঙ্গল চাই। ছাত্র-ভিসি মুখোমুখি না হয়ে বিষয়টি আলোচনা করে সমাধান করা উচিত।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সিলেট নগরের পাঠানটুলায় এলাকার একটি বাসায় একটি মাদরাসার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সস্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলকে আলোচনার জন্য পাঠানো হয়েছে। দল থেকে উচ্চ পর্যায়ে প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক খোঁজখবর নিচ্ছেন। এই আসনের সংসদ সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীও বিষয়টি সমাধানে খুবই আন্তরিক। সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে একটা সমাধান হবে বলে আমার মনে হয়।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বয়স খুবই কম, একটু উত্তেজনা থাকতেই পারে। ধৈর্যের সঙ্গে এটা মোকাবিলা করতে হবে ‘
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিক্রিয়াশীল দল সব সময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কিছু হলে আঙুল দেবে। তারা তো বাংলাদেশকে নিজের দেশ মনে করে না। তাদের ধারণা বাংলাদেশ থেকে অন্যদেশ আরও উত্তম। কেউ কেউ অন্যদেশকে স্বর্গ মনে করে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রতিক্রিয়াশীল ছাড়াও আধা প্রতিক্রিয়াশীল সুবিধাবাদী কিছু চক্র আছে যারা নানাভাবে ঘোলাটে পরিবেশে মাছ শিকার করতে চায়। মানে যারা ক্ষমতা যাওয়ার পথ খুঁজছেন। তারা সুযোগ নেবে। এটা রাজনীতির নিয়ম। তবে আমি উন্নয়নে বিশ্বাসী, উন্নয়ন আমার শখ ও অভিলাষ। প্রতিক্রিয়াশীলদের মোকাবিলা করার ক্ষমতা আওয়ামী লীগের রয়েছে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা আঞ্জুমান আরা অঞ্জু, মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাউন্সিলর মোখলিছুর রহমান কামরান, ছাতক পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল ওয়াহিদ মজনু, ভারপ্রাপ্ত মেয়র তাপস চৌধুরী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোবাশ্বীর আলী ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম রায়হান চৌধুরী প্রমুখ।