””সম্পা দাস,–সম্পাদক,দৈনিক নগর সংবাদ,নগর সংবাদ ২৪ ডটকম,নগর টিভি,(ভারত) কলকাতা ব্যুরো"""


জঙ্গিপুর তথা মুর্শিদাবাদের শিক্ষা ও সংস্কৃতি জগতে এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকল রাজ্যবাসী। দাদাঠাকুর—যাঁর আসল নাম শরৎচন্দ্র পণ্ডিত (১৮৮১–১৯৬৮), বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, ব্যঙ্গরসিক, সমাজসমালোচক ও ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সাহসী কণ্ঠ—তাঁর স্মৃতিকে চিরজাগরুক করে রাখতেই ১৯৯১ সালে “দাদাঠাকুর শিক্ষা নিকেতন”

প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সমাজসেবী ও শিক্ষানুরাগী ডঃ অপূর্ব চক্রবর্তী মহাশয়।
রঘুনাথগঞ্জ, মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণকারী ডঃ চক্রবর্তী পেশায় একজন পেডিয়াট্রিক মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ হলেও তাঁর প্রকৃত নেশা—শিশু মনের বিকাশ ও সমাজ গঠন। তাঁর বিশ্বাস,


এই দর্শনকে সামনে রেখেই দাদাঠাকুর শিক্ষা নিকেতন শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তক নির্ভর শিক্ষায় সীমাবদ্ধ না থেকে শিশুদের চারিত্রিক গঠন, নৈতিক শিক্ষা, খেলাধুলা, নাচ-গান, আবৃত্তি, নাটক ও বাস্তবমুখী শিক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে।

দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী বহু শিশুকে এখানে সম্পূর্ণ অবৈতনিক শিক্ষাও প্রদান করা হয়।বিদ্যালয়ের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য হল পিতা-মাতা সচেতনতা কর্মসূচি—


সামাজিক দায়বদ্ধতায় অনন্য দৃষ্টান্ত

কন্যাদায়গ্রস্ত পরিবার, দারিদ্র্যপীড়িত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো, বাল্যবিবাহ রোধ, শিশু শ্রম বিরোধিতা, নারী শিক্ষা ও নারী অধিকার, পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সচেতনতা কর্মসূচির মাধ্যমে তিনি সমাজে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। এই সকল কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি ভারত সরকার দ্বারা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত।

তাঁর নিরলস প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ দাদাঠাকুর শিক্ষা নিকেতন ISO 9001:2015 স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
৩৫ বছরের স্বপ্ন আজ বাস্তব

৩৫ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম, সততা, নিষ্ঠা ও সময়ানুবর্তিতার ফলস্বরূপ আজ দাদাঠাকুর শিক্ষা নিকেতন এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। প্রতিষ্ঠানটি আজ রূপ নিয়েছে—

DADATHAKUR INSTITUTION & CULTURAL UNIVERSITY
HONORS & AWARDS CEREMONY – 2025


এই উপলক্ষে আয়োজিত হবে এক বর্ণাঢ্য সম্মাননা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নবীন বরণ, মেধা সম্মান, চতুর্থ শ্রেণীর বিদায় সংবর্ধনা, শিক্ষক ও অভিভাবক সম্মাননা, মাতৃ সম্মাননা, নৃত্য-নাট্য ও আবৃত্তির মাধ্যমে অনুষ্ঠান হয়ে উঠবে এক অনন্য মিলনমেলা।


অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দাদাঠাকুর শিক্ষানিকেতনের সভাপতি শ্রী নিতাইচন্দ্র ঘোষ মহাশয়। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষা শ্রীমতি সঞ্চিতা দাস মহাশয়া ও পর্যবেক্ষক শ্রীমতি সান্ত্বনা প্রামানিক মহাশয়া।শিক্ষা ও সংস্কৃতির মেলবন্ধনে এক অনন্য দৃষ্টান্তদাদাঠাকুরের আদর্শকে বুকে ধারণ করে ডঃ অপূর্ব চক্রবর্তী মহাশয়ের নেতৃত্বে এই প্রতিষ্ঠান আজ শুধুমাত্র একটি বিদ্যালয় নয়—এটি একটি আন্দোলন, একটি সংস্কৃতি, একটি ভবিষ্যৎ নির্মাণের কারখানা।
