নগর সংবাদ।।শিশু অধিকার সুরক্ষায় সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, শিশুরা আজকের এবং ভবিষ্যতের লিডার। শিশুদের সার্বিক সুরক্ষায় সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
এসময় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্পিকারের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের জনগণকে সামগ্রিকভাবে বিশেষ করে শিশুদের এবং দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থেকে কাজ করায় ধন্যবাদ জানান স্পিকার।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্পিকার আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা ও ওয়ার্ল্ড ভিশনের পতাকা উত্তোলন, মোমবাতি প্রজ্বলন ও বেলুন উড্ডয়ন করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ভিশনের সাউথ এশিয়া প্যাসিফিক অফিসের রিজিওনাল লিডার চেরিয়্যান থমাস এবং ইউএস অ্যাম্বাসি অব বাংলাদেশের ডেপুটি চীফ অব মিশন হেলেন লাফেভ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিরেক্টর সুরেশ বার্টলেট।
স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সংবিধানে শিশুদের সুরক্ষার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করেছেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে শিশু আইন প্রণয়নের মাধ্যমে শিশুর কল্যাণ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করেছেন বলে স্পীকার উল্লেখ করেন।
এসময় ড. শিরীন শারমিন বলেন, এসডিজি অর্জনে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি বিশেষ করে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে ৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যকর পদক্ষেপের ফলে দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২১ শতাংশে নেমে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শিশুদের শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। এজন্য দরিদ্র পরিবারের মায়েদের মোবাইলে মেয়েদের শিক্ষা বৃত্তি প্রেরণ, বিনামূল্যে বই বিতরণ ও আইসিটি ল্যাব স্থাপন করা হচ্ছে। এসময় স্পীকার ওয়ার্ল্ড ভিশনকে বাংলাদেশের দরিদ্র জনগণের পাশে থেকে দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সিনিয়র ডিরেক্টর (অপারেশন্স এন্ড প্রোগ্রাম কোয়ালিটি) চন্দন জেড গোমেজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা, বিভিন্ন দূতাবাস ও দাতা সংস্থার প্রতিনিধিরা, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিও’র কর্মকর্তারা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং ওয়ার্ল্ড ভিশনের কর্ম এলাকার শিশু ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।