নগর সংবাদ।। নারায়ণগঞ্জে আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে বসতে শুরু করেছে কোরবানির পশুর হাট। এসব হাটে ইতোমধ্যে বাঁশের খুঁটি বসানো হয়েছে।
চলছে ত্রিপল, কাউন্টারসহ অন্যান্য আনুসাঙ্গিক কার্যক্রম।
শুক্রবার (১ জুলাই) ফতুল্লা ডিআইটি মাঠ ও বন্দরের নবীগঞ্জ পশুর হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ফতুল্লা পশুর হাটে বুড়িগঙ্গা নদী দিয়ে ও নবীগঞ্জ হাটে শীতলক্ষ্যা নদী পথে আসতে শুরু করেছে গরু। সিরাজগঞ্জ, পাবনা, কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যাপারীরা আসছেন গরু নিয়ে।
হাটে হাটে ইতোমধ্যে বসেছে পুলিশের বিশেষ নজরদারি দলের পাহারা। নদী পথেও গরুর ট্রলারে ডাকাতি, চাঁদাবাজি রোধে সক্রিয় রয়েছে নৌ পুলিশ।
সিরাজগঞ্জের ব্যাপারী আজগর আলী মুন্সী জানান, তিনি ৮টি এবং তার সঙ্গে কয়েকজন একাধিক গরু এনেছেন হাটে। এবার গো খাদ্যের দাম বেশি। বন্যায়ও আমাদের অনেক সমস্যা হয়েছে। তাই গরুর দামও কিছুটা বেশি। আশা করি এবার লাভ করতে পারব।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম জানান, এবার হাটগুলোকে কেন্দ্র করে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ছিনতাই, চাঁদাবাজি রোধ, জাল টাকার বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা থাকবে। পথে পথে গরু আসতে কোন ধরনের বাধার সৃষ্টি যেন না হয় সেদিকেও বিশেষভাবে বলা হয়েছে নজর রাখতে। কোন ধরনের অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া কেউ যে কোন ধরনের নাশকতার চেষ্টা করতে না পারে সেদিকেও আমরা সাদা পোশাকে বিশেষ গোয়েন্দা নজরদারি করছি।
নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশের এসপি মীনা মাহমুদা জানান, একজন ব্যাপারী অনেক কষ্ট করে তার পশু পালন করে বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে আসেন। তার গরুর রশি ধরে টান দেওয়া হবে, তা হবে না। তিনি যে হাটে ইচ্ছা সেই হাটেই যাবে। তাকে জোর করে কোথাও নামানো যাবে না। নৌ পথে ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি রোধে বাড়তি টহল ও নিরাপত্তা জোরদার করেছি। আলাদা বিশেষ বোট ভাড়া করা হয়েছে, বাড়তি তেল দেওয়া হচ্ছে। বাড়তি ফোর্স থাকছে নৌ পথে। আশা করি কোথাও কোন অভিযোগ থাকবে না, যদি কোন অভিযোগ পাওয়া যায় বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।