শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির নারীপক্ষ কার্যালয়ের নাসরীন হক সভাকক্ষে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সদস্য ভিত্তিক নারী সংগঠন নারীপক্ষের চলমান কার্যক্রম ‘অধিকার এখানে এখনই প্রকল্প-২’ এর বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এ সময় নারীদের অধিকার রক্ষায় নারীদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সমাজে তাদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশের গণমাধ্যমের আরও জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান করেন তারা।
মতবিনিময় সভায় সংগঠনটির বিভিন্ন কর্মসূচি উপস্থাপন করেন নারীপক্ষের নারী ক্ষমতায়ন ও নারী স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রকল্প পরিচালক সামিয়া আফরিন। তিনি বলেন, নারীপক্ষ এখন নারীর উপর সহিংসতা প্রতিরোধ ও মানবাধিকার, নারীর স্বাস্থ্য ও প্রজনন অধিকার, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ও সমতা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও নারীর অর্থনৈতিক অধিকার এ পাঁচটি ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করছে।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন নারীপক্ষের সদস্য ফজিলা বানু লিলি। তিনি বলেন, আমি নারীক্ষের প্রতিষ্ঠাকালীন সময় ১৯৮৩ সাল থেকে এর সঙ্গে যুক্ত আছি। শুরু থেকেই আমরা নারী স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম, এখন কাজের পরিধি বেড়েছে। প্রজনন বিষয়ে নারী স্বাস্থ্যের সমস্যা প্রকট। এসব বিষয় বরাবরই নারীরা উপেক্ষিত এবং অবহেলিত।
ফজিলা বানু বলেন, জন্মনিয়ন্ত্রণের নামে বছরের পর বছর ধরে নারীদের ব্যবহার করা হচ্ছে। আপনার জানলে অবাক হবেন, জন্মনিয়ন্ত্রণে তাদেরকে (নারী) যে ধরণের ওষুধ সেবন করতে হয়, তা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া জন্মনিয়ন্ত্রণে নারী শরীরে ব্যবহার করা ‘নর প্ল্যান’ বা ইমপ্ল্যান ডিভাইসও নারী স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।
জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে নারী স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পরে জানিয়ে লিলি বলেন, বিদেশ থেকে ইম্পোর্ট করা এসব ওষুধ সেবন করার পর, তাদের নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। কারও প্রচুর ব্লিডিং হয়, কারও আবার ব্লিডিং বন্ধ হয়ে যায়, কারও কারও ক্ষেত্রে আরও জটিল সমস্যা তৈরি করে।
সকাল থেকে শুরু হওয়া মতবিনিময় সভা চলে দুপুর পর্যন্ত। এতে অংশ নেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা।