নগর সংবাদ।।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে রক্ষা করতে না পারা বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর মৎস্য ভবনে শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, শেখ রাসেলকে হত্যার মাধ্যমে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবিকে হত্যা করতে চেয়েছিল, বঙ্গবন্ধুর ধারাবাহিকতাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। জাতির পিতার পরিবারকে রক্ষা করতে না পারা আমাদের বড় ব্যর্থতা। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে জাতির ইতিহাসের এ গ্লানিকে আরও জঘন্যতম অধ্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়। যে কারণে শেখ রাসেলের জন্মদিনে আনন্দ-উচ্ছ্বাসের পরিবর্তে আমাদের হৃদয় থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
শেখ রাসেল বঙ্গবন্ধুর রক্ত ও আদর্শের উত্তরসূরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, জন্মের পরই তার ধমনীতে রাজনীতি সূচিত হয়েছিল। তার মধ্যে হয়েছিল অসাধারণ-অকল্পনীয় ব্যক্তিত্বের বিকাশ। শিশু রাসেলকে পর্যবেক্ষণ করে অনুধাবন করা যায়, তিনি বেঁচে থাকলে আজ জাতির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি হতেন। কিন্তু আমরা সে সুযোগ নিতে পারিনি। এটা বাঙালি জাতির দুর্ভাগ্য।
শ ম রেজাউল করিম যোগ করেন, শেখ রাসেলের মতো নিষ্পাপ শিশুকে যারা নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে, সে মানুষগুলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না। তারা বাংলাদেশে বিশ্বাস করে না, বঙ্গবন্ধুতে বিশ্বাস করে না, তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে বিশ্বাস করে না। এই মানুষগুলো বাংলাদেশ থেকে নিঃশেষ হয়ে যায়নি। তাদের প্রজন্ম এখনো বাংলাদেশে রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে এখনো তারা ধ্বংস করতে চায়।
এসময় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী জানান, আগামী দিনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য শিশুদের মেধা ও চিন্তা-চেতনায় আদর্শের বিকাশ ঘটাতে হবে। একই সঙ্গে যাতে কোনো শিশু নির্যাতনের শিকার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি বলেন, শেখ রাসেলকে যারা হত্যা করেছে, জাতির জনককে যারা হত্যা করেছে , তারা একটি অপশক্তি। তাদের হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষার জন্য আমরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরসূরি শেখ হাসিনাকে পেয়েছি। তার মধ্যে আমরা বঙ্গবন্ধুকে খুঁজে নিতে চাই, শেখ রাসেলকে খুঁজে নিতে চাই।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী হাসান আহমেদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. শেখ আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল জলিল এবং মেরিন ফিশারিজ একাডেমির অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন ওয়াসিম মকসুদ।
স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়, মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।