ঢাকা প্রতিনিধি।। রোববার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। দেশ থেকে পাচার অর্থ ফিরিয়ে আনার সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, দেশ থেকে পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। যেসব দেশে টাকা পাচার হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে সেসব দেশের সরকারের কাছে সন্দেহ করার ব্যাপারে অবহিত করে তাদের কাছ থেকে সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন দেশ থেকে ইতিবাচক সাড়াও পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার আমলে আনলিমিটেড চুরি হয়েছে। কোথায় কোথায় চুরি হয়েছে, কোথায় কোথায় টাকা রেখেছে তা চিহ্নিত করা ও খুঁজে বের করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স কাজ করছে। প্রথমেই আমরা দেখছি কীভাবে টাকাগুলো ফেরত আনা যায়। এটি আমাদের টপ প্রায়োরিটি। শফিকুল আলম আরও বলেন, বিদেশে পাচার করা চুরির টাকা ফিরিয়ে আনতে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত প্রয়োজন হয়। পাচার অর্থ কবে, কখন, কোথায়, কোন চ্যানেলে কোন দেশে গেছে সে ব্যাপারে সরকারকে সুনির্দিষ্টভাবে তথ্য তুলে ধরতে হয়। তিনি বলেন, দুর্নীতি ও পাচার রোধে এরই মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনকে পুনর্গঠন করা হয়েছে। সেন্ট্রাল ব্যাংকের মানি লন্ডারিং বিভাগকে শক্তিশালী করা হয়েছে, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) শক্তিশালী করা হচ্ছে।