কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ মুহূর্ত দেখে ফেলায় চাচাতো শ্যালিকা খুশিকে (৯) হত্যার অভিযোগে দুলাভাই আব্দুল গণিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং অভিযুক্ত আব্দুল গণিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার আব্দুল গণি উপজেলার আশকর নগর গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে। নিহত শ্যালিকা হাফছা আক্তার খুশি একই গ্রামের বাবু মিয়ার মেয়ে এবং তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।
এর আগে, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, আব্দুল গণির সাথে চলতি মাসের ৪ তারিখে খুশির চাচাতো বোন আঙ্গুয়ারা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে আব্দুল গণি স্ত্রীসহ বেড়াতে আসেন। ওই বাড়িতে রাতে ঘুমানোর জায়গা না থাকায় খুশিদের বাড়িতে নব বিবাহিত বউ নিয়ে অবস্থান করার সময় স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ মুহূর্ত দেখে ফেলে খুশি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গণি রোববার সন্ধ্যায় খুশিকে একা পেয়ে ঘরে ডেকে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে মারতে থাকে। একপর্যায়ে শ্বাসরোধ হয়ে মারা যায় খুশি। পরে বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার উদ্দেশে খুশির মরদেহ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখেন গণি।
জানা যায় খুশির বাবা ঢাকায় প্লাস্টিকের কারখানায় কাজ করেন। পারিবারিক কলহের জেরে তিন মাস আগে খুশির মা বাবার বাড়ি চলে আসেন। সেই থেকে আশকর নগর গ্রামের ফুপুর বাড়িতে তিন বোনসহ থাকতো খুশি।
নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবিউল হাসান জানান, সোমবার নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মগে পাঠানো হয়েছে এবং অভিযুক্ত আব্দুল গণিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।