বাবুরাইল এলাকায় গত ৩/৬/২০২২ ইং গৃহবধু নুরতাজ আক্তার আত্নহত্যার ঘটনায় স্বামী মো: আউয়াল হোসেন গতকাল শনিবার নারয়ণগঞ্জ জেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য বলেন, আমি ও আমার পরিবারের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও হয়রানী বন্ধের ও আমার স্ত্রীর আত্মহত্যার মূল প্ররোচনা কারীদের শাস্তির দাবিতে আজকের সংবাদ সম্মেলন করছি। আমার স্ত্রীর মৃত্যুর রাতে আমার স্ত্রীর বড় ভাই শাফিল হোসেন চারতলার ফ্ল্যাটে থাকা নিয়ে অর্থাৎ আমরা যেই রুমে থাকতাম সেই ফ্ল্যাটেই শাকিল ও তার স্ত্রীকে থাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় ।
কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও মারামারি হয় । দুই ভাই ও বোনের মধ্যে চার তালার ঐ রুমে থাকা নিয়ে এরকম প্রায় বাগড়া ও মারামারি হতো । আমার স্ত্রীর বড় ভাই শাকিল , আমাদের এই বাসাতে থাকা নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কটু কথা বলত । আমার স্ত্রী নূরতাল আক্তার কে প্রায় বলতো তুই এই বাসাতে থাকার কারণে আমার বউকে নিয়ে এই বাড়িতে আসতে পারি না । রাতের খাওয়ার সময় আমার স্ত্রী প্রায় কান্নাকাটি করত ও আমাকে ওর ভাইয়ের কটূক্তির কথা বলতো । বড় ভাইয়ের এই কটূক্তির কথা ওর মা - বাবাকেও প্রায় সময় বলত । এরই প্রেক্ষিতে আমরা অন্যত্র বাসা ভাড়া ঠিক করি । কিন্তু আমার শ্বশুম্ভু শ্বাশুড়ী আমাদের বুঝিয়ে শুনিয়ে রেখে দেয় এবং অন্যত্র যেতে দেয়নি । আমি আমার শ্বশুরের সাথে পার্টনারে একটি ট্রাক ক্রয় করি প্রায় ১ বছর আগে । ঐ ট্রাকটি আমার স্ত্রীর বড় ভাই শাকিল পরিচালনা করত । ঐ ট্রাকের আয়ের টাকা নিয়েও প্রায় সময় ঝগড়া হতো শাকিলের সাথে আমার স্ত্রীর । আমি ডুবাইতে থাকাকালীন সময় আমার স্ত্রীর মেঝো বোন নুরুন নাহারকে নগদ টাকার প্রয়োজন হলে আমার স্ত্রীর মেঝো বোনের বন্দর এলাকার ৮ শতাংশ জমি বিক্রয়ের কথা বলে আমার স্ত্রী'র কাছ থেকে ৮,০০,০০০ / - ( আট লক্ষ ) টাকা নেয় এবং ঐ জায়গা ভরাট বাবদ আরো ৪,০০,০০০ / - ( চার লক্ষ ) টাকা নেয় ।
বর্তমান ঐ জমির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আমার স্ত্রীর মেঝো বোন নুরুন নাহার উক্ত জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে অসম্মতি জানায় । এ নিয়েও আমার স্ত্রীর সাথে প্রায়ই মেঝো বোন নুরুন নাহারের সাথে বাগড়া হতো । উপরোক্ত বিষয় নিয়ে গত ০২ / ০৬ / ২০২২ ইং তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার দিনের বেলা উভয় ভাই বোনের মধ্যে প্রচন্ড ঝগড়া হয় এবং ঐ দিন অর্থাৎ ০২ / ০৬ / ২০২২ ইং রোজ বৃহস্পতিবার দিবাগতরাতে আমার স্ত্রী আত্মহত্যা করে । আত্মহত্যার দিন রাত আনুমানিক১০ টার সময় আমার স্ত্রী আমাকে ফোন দিয়ে বলেছিল আসার সময় যেন গরুর মাংস কেনার জন্য টাকা নিয়ে আসি । আমি টাকাও নিয়ে আসি ঐদিন রাতে । রাতে খাবার সময় অন্য দিনের মতো আমার স্ত্রী বলেছিল আজও ওর বড় ভাইয়ের সাথে বামে থাকা নিয়ে প্রচন্ড ঝগড়া হয়েছে এবং মেঝো বোন নুরুননাহার এর সাথে জমি নিয়ে আমার স্ত্রীর বাগড়া হয় এবং আমাকে বলেছিল , আমার মন চায় নিজের জীবন নিজেই দিয়ে দেই । এরকমের ঝগড়া ওদের পরিবারের মধ্যে প্রায় হতো বলে আমি তেমন কোন গুরুত্ব দেইনি ।
এরপর আমারা দু'জন ভাত খেয়ে শুয়ে পরি । অতঃপর সকাল বেলা আমার সন্তানের চিৎকার শুনে আমার ঘুম ভাঙ্গলে , আমার স্ত্রীকে ওড়না দিয়ে ফেনের হুকের সাথে বুঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই । এরকম দৃশ্য দেখে আমি হতভম্ভ হয়ে যাই এবং চিৎকার করি এবং আমার স্ত্রীকে নামিয়ে আমার শ্বশুর - শরীকে ডাকি । তারা আমার রুমে এসে প্রথমেই আমার মোবাইল ফোন এবং মার দোকানের চাবি নিয়ে নেয় । তারপর আমাকে আমার স্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা আমাকে এলোপাথারি কিলঘুসি মেরে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নীলা ফুলা জখম করে এবং শাকিল ওয়াড্রফ এর উপর রাখা আয়না দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে । আমার স্ত্রীর মৃত্যুর খবর শুনে আমার বড় ভাই দেখতে আসলে তাকেও মারধর করে আটকিয়ে রেখে পুলিশের কাছে তুলে দেয় এবং নিজেদের দায় এড়ানোর জন্য আমি ও আমার পরিবার বর্গের নামে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মিথ্যা মামলা দায়ের করেন । যাহার মামলা নং ৫ ( ৬ ) ২২ , তারিখ : ০৩/০৬/২০২২ , ধারা : ৩০৬/৩৪ । মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ্য করে যে , বাদীর বোনের রং শ্যামলা হওয়ার ১ নং বিবাদী অর্থাৎ আমি ও আমার পরিবারগণ তাহাকে গায়ের রং শ্যামলা হওয়ায় বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করি বিধায় আমার স্ত্রী আত্মহত্যা করে । যাহা মিথ্যা অত্যন্ত দুঃখজনক কারণ আমি আমার স্ত্রী'র সাথে দীর্ঘ ৪ বছর ভালোবাসার সম্পর্ক করে পারিবারিক ভাবে ইসলামী শরাশরীয়তের বিধান মতে বিবাহ করি ।
যদি আমার স্ত্রীর শ্যামলা বর্ণের কারণে আমি বা আমার পরিবার বাটূক্তী করতাম তাহলে আমি তাকে বিয়ে করতাম না বা আমার পরিবারও তাকে মেনে নিত না এবং আমাদের একটি ছেলে আছে যার বর্তমান বয়স ৪ বৎসর । বিয়ের পর আমাদের ৬ বৎসর এক সাথে সংসার হয় ।পরবর্তীতে আমার স্ত্রীর ময়না তদন্ত রিপোর্ট নং-১৯৮ /২০২২ মোতাবেক আমার স্ত্রীর ময়নাতদন্ত শেষে ডাজার শেখ ফরহাদ, আবাসিক মেডিকের অফিসার জেনারেল হাসপাতাল নারায়ণগঞ্জ মতামত প্রকাশ করে . পরবর্তীতে মহামান্য বিজ্ঞ আদালত উপরোক্ত ঘটনা পর্যালোচনা করিয়া আমাদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে। বিজ্ঞ আদালতের এহেন রায়ের উপর ফব্ধ হইয়া আমার স্ত্রীর পরিবার আমাদেরকে আরো একটি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করেন । যাহার মামলা নং -০৮ , তারিখ ০৪/০৮/২০২২ ইং এবং মামলার এজাহারে উল্লেখ্য করে যে , ০১/ ০৮/ ২০২২ ইং তারিখ রাত আনুমানিক ১০.৩০ ঘটিকার সময় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানাধীন ১ নং বাবুরাইল , বউ বাজার ব্রীজের ঢালে বাদীর ভাইকে গাড়ির ভাড়া আছে বলে কৌশলে ডাকিয়া নিয়া লোহার রড দ্বারা এলোপাথারি আঘাত করিতে থাকে ।
যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও আমাদের হয়রানী করার জন্য উক্ত বানোয়াটি মোকদ্দমা দায়ের করা হয় । জামিন প্রাপ্তির পর হইতে অদ্য পর্যন্ত বাদীগণ আমি এবং আমার পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের হুমকী ধামকী ও প্রাণ নাশের ভয়ভীতি প্রদান করে আসছে এর পরিপ্রেক্ষিতে আমার বড় ভাই মোঃ ফজলুল রহমান নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় গত ২