নারায়ণঞ্জগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংর্ঘষের ঘটনায় নিহত যুবক যুবদলের কর্মী নয় বলে দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জের নবাগত পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল।
তার দাবি নিহত যুবক শাওন একটি গ্যারেজে কাজ করে। সে গ্যারেজের কিছু মালামাল ক্রয় করার জন্য শহরে এসেছিলো। তবে সে গুলিতে নাকি অন্য কোন কিছুর আঘাতে নিহত হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি
। তার মৃত্যুর বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে। তিনি বলেন, আমি নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলেছি, নিহত শাওন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলীর ভাতিজা । বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের খানপুর তিনশ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে এসে তিনি এই দাবি করেন। পুলিশ সুপার বলেন, পুলিশ ‘ল’ অনুযায়ী কাজ করে।
পুলিশ প্রথমে তাদের সড়ক অবরোধ না করার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের উপর বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ কারণে এতো সংখ্যক পুলিশ আহত হয়েছে। গুরুত্বর মাথায় ইনজুরি দুইজন পুলিশ সদস্যকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
বিএনপির নেতা কর্মীরা অলিতে গলিতে গিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ছিলো। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেছে। ধারনা করা হচ্ছে বাতাসে টিয়ার সেলের ধোয়া স্কুলে প্রবেশ করায় ছাত্রীরা টিয়ারসেলের জাজে অসুস্থ হয়েছে। স্কুলের ভেতরে সেল পড়েছে এমন ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি দাবি করেন।