হিন্দু সম্প্রদায়ের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাপমোচনে পূণ্যা স্নানের এক তীর্থ ভূমি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও ও বন্দর উপজেলা মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপূত্র নদে লাঙ্গলবন্দে আজ ৮ই এপ্রিল শুক্রবার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে ২দিন ব্যাপী স্নান উৎসব শুরু। শুল্কা তিথি অনুযায়ী শুক্রবার রাত ৯ টা ১১ মিনিটে লগ্ন শুরু। এবং শেষ হবে শনিবার রাত ১১ টায়।
এদিকে, করোনার কারণে টানা ২ বছর বন্ধ থাকার পর এবার পূর্ণ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই উৎসব। ৬ বছর আগে বেইলি ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ার গুজবে ভিড়ের চাপে পদদলিত হয়ে ১০ জন পূণ্যার্থীর প্রাণ হানি ও ৩০ জন আহতের ঘটনায় এ বছর পূণ্যার্থীদের আগমন উপলক্ষে ইতি মধ্যে জেলা প্রশাসন বাড়তি নিরাপত্তা জোরদারে সকল পরিস্থিতি সম্পন্ন করেছেন। তবে করোনার কারণে এবার বসছেনা তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে লোকজ মেলা।
আয়োজকরা জানান, এ বছর শুক্রবার রাত ৯ টা ১১ মিনিটে স্নানের লগ্ন শুরু হবে। শেষ হবে শনিবার রাত ১১ টায়। সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় অন্যান্য বারের চেয়ে এবার পূর্ণ্যার্থীর সংখ্যা বাড়বে। স্নানোৎসবে অংশ নিতে দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে পূণ্যার্থীরা ইতিমধ্যে লাঙ্গলবন্দে আসতে শুরু করেছেন।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম কুদরাত এ খুদা জানান, সুষ্ঠুভাবে স্নান সম্পাদনের জন্য সব রকম প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ১৮ টি স্নান ঘাট সংস্কার করা হয়েছে। নদের কচুরিপানা পরিস্কার করা হয়েছে। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে ৪৭ টি নলকুপ, ১০০টি অস্থায়ী টয়লেট ও স্নান ঘাটে কাপড় পাল্টানোর ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
এরআগে ৭ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে স্নান ঘাট পরিদর্শন করেছেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মাহবুবুর রহমান। এ সময় তিনি বলেন, পূর্ণ্যার্থীদের নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার ও র্যাবের সহস্রাধিক সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়া সাদা পোশাকে রয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনীর কিছু সদস্য। তীর্থস্থানের তিন কিলোমিটার এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। যানজট নিরসনে ট্রাফিক ও নদীতে নৌ পুলিশ কাজ করছেন। চলতি বছরে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপাল, ভূটান ও শ্রীলংকা থেকে পূণ্যার্থীরা স্নানোৎসবে অংশ নিচ্ছেন বলে লাঙ্গলবন্দ স্নানোৎসব উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান।