পদ্মার গ্রাসে সিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিশুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে একতলা ভবনটি ভেঙে নদীগর্ভে চলে যায়। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা। ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে চর সিলিমপুর এলাকার মসজিদসহ প্রায় অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি।
চর সিলিমপুর স্কুলটি সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের শহর রক্ষাকারী বাঁধের বাইরে পদ্মাপাড়ে অবস্থিত। এর একতলা ভবনের সঙ্গেই নদী। বিদ্যালয়টিতে শিশুশ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১০৮ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর পর স্কুল খুললেও বন্যা ও পদ্মার ভাঙন আতঙ্কে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম।
পদ্মার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনের তীব্রতা শুরু হয় চরসিলিমপুর এলাকায়। ফলে ভাঙন আতঙ্কে স্কুলের মূল ভবনে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রেখে পাশের টিনশেডে পাঠদান ও অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ অব্যাহত রাখলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় আব্দুর রহমানসহ কয়েকজন বলেন, চর সিলিমপুর স্কুল ওই এলাকার একমাত্র স্কুল। স্কুলটি নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় তাদের সন্তানরা কোথায় পড়ালেখা করবে, বিষয়টি নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
চর সিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমান আলী ফকির বলেন, ভাঙনের ঝুঁকিতে থাকা স্কুলের মূল ভবনটি আজ ভেঙে পড়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে পাশের টিনশেডটিও অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। স্কুলের মালামাল ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রাদি পাশের একটি বাড়িতে রাখা হয়েছে। সেখানেই আপাতত বাচ্চাদের পাঠদান করানো হবে।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অঙ্কুর বলেন, নদীর পানি কমতে থাকায় ব্লকের নিচের মাটি সরে গিয়ে চর সিলিমপুর স্কুল এলাকায় প্রায় ১০০ মিটার ধসে গেছে। ভাঙনরোধে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ অব্যাহত আছে।