বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) থেকে শুরু হওয়া ভাঙন আজও অব্যাহত রয়েছে। ভাঙন ঝুঁকিতে পড়েছে আরও বেশকিছু পাকা ভবনসহ স্থাপনা। ভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ভাঙন থেকে বাঁচতে এখন পর্যন্ত ১৫টি বসতঘর -জিনিসপত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন এসব ঘরের বাসিন্দারা। টানা বৃষ্টিপাত ও নদীতে রাতভর অবৈধ ড্রেজিংয়ের কারণেই হঠাৎ এমন ভাঙন ধরেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতের পর লৌহজং-তেউটিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে নদীতীরে হঠাৎ ভাঙন দেখা দেয়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মাঝে। ক্রমশ ভাঙনে নদীপাড়ে থাকা কয়েকশো মিটার তীর ভেঙে পড়ে। এতে স্থানীয় জিতেন রাজবংশীর পাঁকা ভবন ও টিনের ঘর ও সুধন রাজবংশীর একটি ঘর নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এছাড়া স্বপন রাজবংশীর পাকা ঘর আংশিক ভেঙে পড়েছে। ভাঙন অব্যাহত থাকলে যেকোনো সময় ভেঙে পড়বে পুরো ভবনটি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পদ্মা নদীতে রাতভর অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বালুখেকোরা। এসব বালু শত শত বাল্কহেড দিয়ে পাচার করা হয় রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায়। নদীতে অবৈধ ড্রেজিং ও বাল্কহেড চলার কারণে তীব্র ঢেউয়ের প্রভাবে নদী ভাঙনের অন্যতম কারণ।
এ বিষয়ে লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন জানান, ওই এলাকায় তীর রক্ষায় জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছিল আগে থেকে। ভাঙন দেখা দেওয়ায় অধিকতর জিও ব্যাগ ফেলে তা প্রতিরোধ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে ওই এলাকা সংলগ্ন নদীতে যেন বাল্কহেড বা নৌযান আপাতত না চলে সেজন্য নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তীবলেন, ভাঙনের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেড়শো মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বলে পরিমাপ করা হয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে ২০০০ বস্তা জিও ব্যাগ ফেলেছি এলাকাটিতে। যতক্ষণ না পর্যন্ত ভাঙন প্রতিরোধ হয়, জিও ব্যাগ ফেলা হবে। আশা করছি দ্রুতই অবস্থার উত্তরণ ঘটবে।