প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাংবাদিকরা সরকারি ফ্ল্যাট কিস্তিতে কিনতে চাইলে ব্যবস্থা করা হবে।
সোমবার (১০ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে অসুস্থ, অসচ্ছল ও দুর্ঘটনায় আহত এবং নিহত সাংবাদিকদের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা ভাতা ও অনুদানের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সংবাদপত্রে যারা কর্মরত সাংবাদিক, কর্মচারী বা প্রেস শ্রমিকদের কল্যাণে ইতোমধ্যে আমরা একটা ওয়েজবোর্ডও কার্যকর করেছি। আমি মালিকদেরও বলবো এখন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মরত সাংবাদিকদেরও ওয়েজবোর্ডের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং খুব শীঘ্রই এটা বাস্তবায়ন করা হবে। আপনাদের কল্যাণে গণমাধ্যম চাকরি শর্তাবলি আইন সেটাও আমরা প্রণয়ন করে দেব। সাংবাদিকদের আবাসনের জন্যও বিশেষ প্রকল্পেরও উদ্যোগ নিয়েছি। এর মধ্যে অনেকেই প্লট দেওয়া হয়েছে। আবার অনেকে পেয়ে বিক্রিও করেছেন। আমরা কিন্তু সরকারিভাবে অনেক ফ্ল্যাটও তৈরি করেছি। সেটা আপনি কিছু টাকা জমা দিয়ে কোনোটা ১৬ বছর, কোনোটা ২৬ বছর পর্যন্ত আস্তে আস্তে টাকা শোধ করে এক সময় নিজে মালিক হতে পারবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ন্যাম সম্মেলনের জন্য আমরা যখন ফ্ল্যাট তৈরি করি তখনই আমার একটা লক্ষ্য ছিল সম্মেলন শেষে এই ফ্ল্যাটগুলো কবি, শিল্প, সাহিত্যিক ও সাংবাদিকদের দিবো। কারণ তাদের চাকরির কোনো স্থায়িত্ব থাকে না। যখন তারা বৃদ্ধ বা অসুস্থ হয়ে যায় কি করে চলবে? সরকারি চাকরি যারা করেন তারা তো অবসর ভাতা পান, আমাদের রাজনীতিবিদদের জন্যও কিছু থাকে না, আবার সাংবাদিকদেরও কিছু থাকে না।
এটাই বাস্তবতা। তাই সরকারি ফ্ল্যাটগুলো চাইলে সাংবাদিকরা নিতে পারেন।
সমালোচকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এই সব লেখে মাঝে মাঝে মনে হয়, আমরা সব কিছু বন্ধ করে দিয়ে আবার ৩ হাজার মেগাওয়াটে ফিরে যাই। ফিরে গিয়ে সবাইকে বুঝিয়ে দিই যে, কী অবস্থা হতো দেশে! মাথায় ঢুকতো কেন এটা করা হলো। সমালোচনা করতে পারেন, সমালোচনা ভালো। কিন্তু সেই সমালোচনাটা আমি মনে করি গঠনমূলক হওয়া উচিত। সেই সমালোচনার মধ্য দিয়ে সংশোধনের সুযোগ থাকা উচিত। শুধু তো বলার জন্য বলা না। হ্যাঁ, অপজিট তো বলবেই, তারা কথা বলে টক শো করে, টক শোতে ইচ্ছামতো বলে যাচ্ছে, যা বলার তাই বলে যাচ্ছে। সব কিছু বলার পর বলে, কথা বলার স্বাধীনতা নাই। স্বাধীনতা ছিল কখন? আইয়ুব খানের আমলে ছিল? জিয়াউর রহমানের আমলে ছিল? এরশাদের আমলে ছিল? ২০০১ সালের কথা একবার চিন্তা করেন, খালেদা জিয়া যখন সরকারে এলেন, দক্ষিণাঞ্চলে কি কোনো সাংবাদিক যেতে পেরেছিলেন?
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও তথ্য সচিব হুমায়ুন কবীর খন্দোকার।