শুক্রবার (৩১ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে জাহাঙ্গীরনগরের মূল ফটকের সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। এ সময় তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিও করেন।
সড়কের ঢাকাগামী লেনে শিক্ষার্থীরা অবরোধ পালন করলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের আরিচাগামী লেনে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে আবারও সেই লেন বন্ধ করে দেন তারা। এ সময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এর আগে জাহাঙ্গীরনগরের মোরাদ চত্বর থেকে মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা সড়কে এসে বসে পড়েন। এ সময় বিক্ষোভ আন্দোলনে তারা সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মুক্তি দাবি করেন।
জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সাধারণ সম্পাদক তাপসী দে প্রাপ্তি বলেন, শামস ভাইয়ের নিঃশর্ত মু্ক্তি দাবিতে আজ আমরা এ অবরোধ কর্মসূচিতে এসেছি। তার বিরুদ্ধে যে মামলাটি করা হয়েছে সেটি যেন অতি দ্রুত প্রত্যাহার করা হয়। একইসঙ্গে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের মতো একটি আইন যে আইনে সাংবাদিক, শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সবার মুখ বন্ধ করে ফেলা হয়, সবার স্বাধীনতা হরণ করা হয় সেই আইন বাতিলের দাবিতে আমরা আজ এখানে দাঁড়িয়েছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধের খবর জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গিয়েছি যাতে তাদের সঙ্গে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে। সেখানে গিয়ে তাদের রমজানের দিনে জনমানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করতে বলায় তারা সেটি বিবেচনায় নিয়ে অবরোধ উঠিয়ে নিয়েছে।