জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সাদা মনের আলোকিত ব্যক্তিত্ব ছিলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। জাতীয় জীবনে আছে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান। অল্পসময়ে ‘কিংবদন্তি আবুল মাল আবদুল মুহিত’ স্মারকগ্রন্থটি সম্পাদনা করা হয়েছে যা প্রশংসনীয়। তরুণ প্রজন্মকে তার সম্পর্কে জানতে ও অনুপ্রাণিত করবে গ্রন্থটি। ‘কিংবদন্তি আবুল মাল আবদুল মুহিত ট্রাস্ট’ গঠন করা হয়েছে, যা উন্নত জাতি গঠনে ভূমিকা রাখবে।
শুক্রবার (১৯ মে) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের মুক্তিযোদ্ধা হলে ‘কিংবদন্তি আবুল মাল আবদুল মুহিত’ স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন স্পিকার।
স্পিকার বলেন, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিক হিসেবে আবুল মাল আবদুল মুহিতের ব্যক্তিত্বের উপস্থাপনা গ্রন্থটির অনন্য বৈশিষ্ট্য। এগারো-বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে অর্থমন্ত্রী হিসেবে নয়বার বাজেট পেশ করেছেন তিনি। বয়স ছাপিয়ে উঠেছিল তার কর্মোদ্দীপনা। অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুচারুরূপে তিনি কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। কোনো প্রস্তাব যুক্তিসঙ্গত হলে তিনি তা সাদরে গ্রহণ করতেন। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করার ক্ষেত্রে অনবদ্য ভূমিকা রেখে গেছেন বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এ উন্নয়নে উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে আবুল মাল আবদুল মুহিত ভাইয়ের ভূমিকা অনন্য। পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগ দিয়ে চাকরিরত অবস্থায় তিনি সাহসিকতার সঙ্গে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ ও মহান স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গঠনে ভূমিকা রাখেন। পরবর্তীতে তিনি স্বাধীনতা পদক লাভ করেন।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে ও এ কে এম নুরুল ফজল বুলবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, ইনাম আহমেদ চৌধুরী ও শাইখ সিরাজ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে প্রয়াত আবুল মাল আবদুল মুহিতের বোন জাতীয় অধ্যাপক ডা. শাহলা খাতুন এবং তার বন্ধু ও রাজনৈতিক সহকর্মীরা আবুল মাল আবদুল মুহিতকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন।