(৯ ডিসেম্বর) শুক্রবার দুপর সোয়া ১২ টার দিকে রাজধানির শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
নিহত জসিম নারায়ণগঞ্জ জেলার সস্তাপুর এলাকার মো. শাহাবুদ্দিনের ছেলে। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জে উত্তর ধনকুন্ডা এলাকায় নাজমুল মিয়ার বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ভাড়া থাকতেন। পেশায় হানিফ পরিবহনের বাসচালক।
গত সোমবার (৫ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে পাঁচটায় ওই ভাড়া বাসায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিষ্ফোরণে নিহত জসিমের পরিবারের চার সদস্য দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধরা হলেন- মো. জসিম (৪৫), তার স্ত্রী গৃহবধু আফরোজা আক্তার (৩৮), মেয়ে জয়া আক্তার (১৩) ও শিশু ছেলে জুনায়েদ (৭)।
এদের মধ্যে আফরোজা আক্তার ওইদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে রাজধানির শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
বর্তমানে দগ্ধদের মধ্যে মেয়ে জয়া আক্তার (১৩) সেখানে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। তার শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়। শিশু জুনায়াদের ৭ শতাংশ দগ্ধ হয়। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে। জয়া আক্তার স্থানীয় একটি স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে।
নিহত আফরোজার বড় ভাই মফিজ প্রধান জসিমের মৃত্যু সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে স্বামীর জন্য রান্নার করতে উঠেন আফরোজা। রান্নাঘরে গিয়ে চূলা জ্বালাতে দিয়াশলাই দিয়ে আগুন জ্বালাতেই রুমের ভেতর বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। ঘরের দরজা জানালা ভেংগে যায়।
এতে আফরোজার পুরো শরীর এবং ঘুমিয়ে থাকা দুই সন্তান ও স্বামীর শরীরে আগুন ধরে যায়। দগ্ধদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তাদের চারজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেখান থেকে তাদেরকে রাজধানির শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে ভর্তি করা হয়। আফরোজা চিকিৎসাধীনবস্থায় ওই দিন বিকেলেই মারা যায়।
তিনি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে রাতে সবাই ঘুমানোর আগে রান্নাঘরে চূলার চাবি দেয়া ছিল। এতে সারা রাত গ্যাস নির্গত হয়ে ঘরের ভেতর জমাট বেঁধে থাকে। ভোরে চূলা জ্বালানোর জন্য আগুন ধরালে সেখান থেকেই ঘরের ভেতর জমাট গ্যাসের বিস্ফোরণ হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।