অনেকদিন পর সিনেমার জন্য গাইলেন নন্দিত কণ্ঠশিল্পী ফাহমিদা নবী। তরুণদের সঙ্গে স্টুডিওতে রেকর্ডিং ভীষণ আনন্দ দিয়েছে তাকে। এ সময় প্রয়াত অভিনয়শিল্পী আহমেদ রুবেলকে মনে পড়েছে ফাহমিদার।
‘অন্তর্বর্তী’ নামের এক সিনেমায় শোনা যাবে ফাহমিদার গাওয়া নতুন এ গানটি। রাহুল কুমার দত্তের সুরে এর সংগীত পরিচালনা করেছেন পিন্টু ঘোষ। ‘তুমি গেও গান অন্য কারো সুরে’ কথার গানটি লিখেছেন সিনেমার নির্মাতা এস এম কাইয়ুম। ‘অন্তর্বর্তী’ সিনেমাটির দৃশ্য ধারণের কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। এতে অভিনয় করেছেন প্রয়াত অভিনেতা আহমেদ রুবেল।
সিনেমার গানটি গাইতে গিয়ে ফাহমিদা নবী আহমেদ রুবেলের কথা মনে করে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছেন। ‘আহমেদ রুবেল আমার প্রিয় অভিনেতা ছিলেন। গাইটি গাইতে গিয়ে এ কথা যখন জানলাম তখন আমার মন বিষণ্নতায় ভরে গেছে। দারুণ একজন অভিনেতা ছিলেন। সিনেমাটিতে রুবেলের কিছু ডাবিংয়ে কাজ বাকি ছিল। সেগুলো করে যেতে পারেননি’, বললেন ফাদমিদা নবী।
গানটি সম্পর্কে ফাহমিদা নবী আরও বলেন, 'অনেক দিন বিরতির পর সিনেমার গান গাইলাম। প্রায় ২ বছর পর। সিনেমার গান গাওয়ার ব্যাপারটাই অন্যরকম। এতে অভিনয় থাকে। সেই অভিনয় কণ্ঠে ধারন করেই কাঁদতে আবার কখনো হাসতে হয়। "অন্তর্বর্তী" সিনেমার এ গানটি সবার ভালো লাগবে আশা করছি'।
১৯৭৯ সালে পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয় ফাহমিদা নবীর। আধুনিক, শাস্ত্রীয়, রবীন্দ্র ও নজরুলসংগীত চর্চা করেন তিনি। তার অ্যালবামগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘এক মুঠো গান’, ‘দুপুরের একলা পাখি’, ‘মনে কি পড়ে না’, ‘আমার বেলা যে যায়’, ‘আকাশ ও সমুদ্র ওপার’, ‘স্বপ্ন গল্প’, ‘ছাত্র দেয়াল হঠাৎ খেয়াল’, ‘পরস্পর’, ‘ফড়িং’, ‘তুমি কি সেই তুমি’। ২০০৬ সালে বাপ্পা মজুমদারের সঙ্গে যৌথভাবে প্রকাশিত হয় তার ‘এক মুঠো গান’ অ্যালবামটি। ২০১০ সালের ভালোবাসা দিবসে বের হয় দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘এক মুঠো গান-২’। তিনি চলচ্চিত্রেও গান করেছেন।