সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার খাষপুখুরিয়া ও বাঘুটিয়া ইউনিয়নে ৪টি সেতুর অভাবে দক্ষিণ অঞ্চল অচল হয়ে পরেছে। উপজেলার খাষপুকুরিয়া ইউপির বাবলাতলা থেকে মিটুয়ানি পাকার মাথা পর্যন্ত সড়ক পথ, কোদালিয়া দক্ষিণ পারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আঃ হামিদ মাস্টার বাড়ি পর্যন্ত নতুন রাস্তা দরকার, রেহাই পুকুরিয়া নতুন পারা ব্রীজ থেকে রেহাই পুকুরিয়া বাজার, রেহাই পুকুরিয়া উত্তর পারা কাঠের সাঁকো থেকে সুম্ভদিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, তিন রাস্তা থেকে মডেল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,বিনানই মরা নদীর ওপর ব্রীজ গয়হাটা বাজার, সলিমাবাদ ব্রীজ ও ভুতের মোর পর্যন্ত রাস্তা নয়,যেন মরণফাঁদ। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন জরাজীর্ণ মরণফাঁদ ৪টি বাঁশ ও কাঠের সাঁকোর স্থানে আজও পাইলিং সেতু স্থান করে নিতে পারেনি দের যুগেও। ব্যবসা বানিজ্য, কৃষি পণ্য রপ্তানি ও বাজার জাতকরণ নিয়ে বিপাকের সেতু হচ্ছে- মোকার ভাঙ্গা বেইলি সেতু, কোদালিয়া দক্ষিণ পারা জামে মসজিদ এর পাশে খালের ওপর ব্রীজ ভাঙ্গা, বাঘুটিয়া ইউনিয়নে রেহাই পুকুরিয়া বাজারের উত্তর পাশের কাঠের সাঁকো, চরনাকালিয়া তালুকদার বাড়ির সংলগ্ন কাঠের সাঁকো। উপজেলার বৈন্যা মোর থেকে রেহাই পুকুরিয়া উত্তর পারা সড়ক ভাঙ্গা ও সড়ক পথে যাতায়াতের কষ্ট এখনো কাটেনি। সরকারের পক্ষ থেকে হাইওয়ে সড়ক পথ মেরামত সংস্করণ ও বেইলি সেতুর স্টীল আজও উদ্ধার করা হয়নি। ওই সব স্থানে প্রতি বছর বাঁশ ও কাঠের সাকো শুধুই স্মৃতি ব্যবহার অযোগ্য সরেজমিন। পথচারী, ছাত্র ছাত্রী ও এলাকা বাসিকে বর্ষা মৌসুমে নৌকা ও শুকনো মৌসুমে পায়ে হেঁটে এবং ফসলি জমির ওপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সড়ক পথে যানবাহন যাতায়াতের মরণফাঁদ দক্ষিণ অঞ্চল। রাস্তাটি মেরামত ও বেইলি সেতু উদ্ধার এবং ভাঙ্গায় পায়লিং ব্রীজ(সেতু) নির্মাণের দাবি দক্ষিণ অঞ্চল বাসির। এলাকা বাসি জানায় দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে বেইলি সেতুটি মাটিতে পড়ে আছে উদ্ধারের নেই এবং সড়ক পথ মেরামতে এগিয়ে আসছেন না রোডন্স এন্ড হাইওয়ে কর্তৃপক্ষ। বাঘুটিয়া ইউপি সদস্য দেওয়ান মতিউর রহমান মতি বলেন, বাঘুটিয়া ইউনিয়নে গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তায় উন্নয়নে কাজ চলছে একংশে, চরনাকালিয়া খালে সেতুর টেন্ডার হয়েছে শুনেছি কাজ নেই, দক্ষিণ অঞ্চলে সড়ক পথ ও কাচা রাস্তার বেহালদশা, ব্রীজ সংকটে হাবুডুবু খাচ্ছে মানুষ, কৃষক কৃষি পণ্য নিয়ে যেমন বিপাকে-তেমনি ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণের কষ্ট আকাশ সমান। খাষপুখুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মোকার ভাঙ্গায় বেইলি সেতু পানিতে পড়ে আছে, রোডন্স এন্ড হাইওয়ে সড়কেরও বেহাল দশা। উপজেলা পরিষদ মাসিক সাধারণ সভায় সেতুর দাবি (উন্নয়ন মুলক কাজ) বেইলি সেতু উদ্ধার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেও কোন সুফলের আশ্বাসবানি পাইনি। এবিষয়ে জানতে চায়লে উপজেলা প্রকৌশলী মো, ফজলুর রহমান তালুকদার বলেন, বাবলাতলা মিটুয়ানি পাকা সড়ক রোর্ডন্স এন্ড হাইওয়ের তাই আমাদের কাছে কোন তথ্য বা মাটিতে পড়ে থাকা সেতু উদ্ধার করার সুযোগ নেই। আপনারা ওপরে যোগাযোগ রক্ষা ও আবেদন করে সড়কটি এলজিইডির আইডি ভুক্ত করুন তাহলেই আমরা কাজ করতে পারবো, উপজেলা পরিষদ এর মাসিক সাধারণ সভায় এসব কথা বলেন তিনি।