নগর সংবাদ।। সেলিম মাহবুব, ছাতকঃ সিলেটের আলোচিত হাতকাটা মামলার প্রধান আসামি হুমায়ূন মিয়াকে(৩৫) দোয়ারাবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হুমায়ুন মিয়া গোয়াইনঘাট উপজেলার টেকনাগুল গ্রামের শাহ আলমের পুত্র।বুধবার রাতে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশের সহযোগিতায় গোয়াইনঘাট থানার ওসি (তদন্ত) দিলীপ কান্ত নাথের নেতৃত্বে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের কলাউড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের বাড়ি থেকে আসামি হুমায়ূন মিয়াকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। মামলা সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তুমপুর গ্রামের মাশুক আহমদ একই গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে বেগম আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই তাদের কলহপ্রিয় দাম্পত্য জীবনে নেমে আসে চরম বিপর্যয়। উভয় পরিবারের মধ্যে চলতে থাকে দ্বন্ধ আর অস্তিত্বের লড়াই। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (৯ জুলাই) বিকালে একইভাবে পরিবারিক দ্বন্ধের জেরে বেগম আক্তার তার পিত্রালয়ে চলে যান। তাৎক্ষণিক স্বামী মাশুক আহমদ স্ত্রী বেগম আক্তারকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে গেলে শ্বশুরালয়ের লোকজন তাকে বেদম মারপিট শুরু করেন। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান মাসুকের ছোট ভাই দিলদার। কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই তার উপরও চলে শারীরিক নির্যাতন। এক পর্যায়ে বেগম আক্তারের ভাই উত্তেজিত হুমায়ুন ধারালো রামদা দিয়ে দিলদারের ডান হাত দ্বিখণ্ডিত করে জঙ্গলে ফেলে দেন। এ ঘটনায় রোববার (১০ জুলাই) গুরুতর আহত কলেজ ছাত্র দিলদারের মা হোসনেয়ারা বেগম বাদি হয়ে গোয়াইনঘাট থানায় একটি মামলা (নং-০৭) দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামি টেকনাগুল গ্রামের শাহ আলমের ছেলে হুমায়ুন মিয়া। এ মামলায় আরো ৭জন আসামী রয়েছেন। হাত বিচ্ছিন্ন হওয়া আহত কলেজ ছাত্র দিলদার মিয়া সিলেটের মাউন্ট এডোরা হাসপাতালের প্লাস্টিক অ্যান্ড রিকনস্ট্রাক্টিভ সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে। দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ দেবদুলাল ধর জানান, বৃহস্পতিবার গ্রেফতারকৃত আসামি হুমায়ূন মিয়াকে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ##