পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বৃহস্পতিবার (১৯ মে) এমন আভাস দিয়েছে।
এছাড়া কুশিয়ারার পানি সিলেটের অমলমীদের বিপৎসীমার ১৭৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং শেওলার পানি ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে যা, আগামী শনিবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া সংস্থাসমূহের গাণিতিক মডেলভিত্তিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, শুক্রবার পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম, মেঘালয়, হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা প্রদেশের কতিপয় স্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
তাই দেশের উত্তরাঞ্চলের ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমার নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে এবং সময়বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
এছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীসমূহের (সুরমা, কুশিয়ারা, ভোগাই-কংস, ধনু-বাউলাই, মনু, খোয়াই) পানির সমতল কতিপয় পয়েন্টে সময়বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
পাউবো জানিয়েছে, বিভিন্ন নদ-নদীতে তাদের পর্যবেক্ষণাধীন ১০৯ পয়েন্টের মধ্যে বৃহস্পতিবার পানির সমতর বেড়েছে ৮১টিতে, কমেছে ২২ টি পয়েন্টের পানির সমতল। আর অপরিবর্তিত আছে ছয়টি পয়েন্টের পানির সমতল।