প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ১০:৪৩ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ২৯, ২০২১, ৪:৪৪ অপরাহ্ণ
সিলেটে ব্যবসায়ী মোস্তফা আনোয়ার এনাম হত্যার প্রতিবাদে ও খুনীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ।।
সেলিম মাহবুব,ছাতকঃ ছাতকে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হাজী মোস্তফা আনোয়ার এনাম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবীতে সিলেট মহানগরীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ করেছে সিলেট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষক -শিক্ষার্থীরা। মোস্তফা আনোয়ার এনাম ওই প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত শিক্ষার্থী ছিলেন। রবিবার (২৭ জুন) বিকেলে তারা সিলেট - ঢাকা মহাসড়কে মানববন্ধন শেষে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে প্রতিবাদ সভা করেছে। এ সময় বক্তারা তাদের বক্তব্য বলেন হত্যা মামলার মূল আসামীরা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে পারছে না। তারা বলেন এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের রহস্যজনক ভুমিকা জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। হত্যা মামলার আসামীরা নিরাপদে আর বাদীর পরিবার নিরাপত্তাহীন। পুলিশের এমন রহস্যজনক আমাদেরকে ভাবায়। প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রিন্সিপাল ওলি উল্লাহ, শিক্ষক মিহির কান্তি সরকার, হেড শেফ শিক্ষক জাকারিয়া, সিআই শাহ আলম পাটোয়ারী, শিক্ষার্থী (ইংলিশ শেফ) শহিদুল ইসলাম ফাহিম, মোঃ হাসান, এড. সালেক মিয়া, রাতুল পুরকায়স্থ, দুলাল মিয়া, মাহিন আহমদ, মনসুর আহমদ, রাজু আহমদ, সায়েদ আহমদ, আব্দুস সামাদ, আকরাম হোসেন, ইংলিশ ওয়েটার ফাতেমা বেগম ও নিহতের ভাই মোস্তফা দেলোয়ার পারভেজ। প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হাজী মোস্তফা আনোয়ার এনাম ছাতক পৌরসভার নোয়ারাই মহল্লার মৃত মতিন মিয়ার পুত্র। ঈদের আগেরদিন বৃহস্পতিবার (১৩মে) ইফতারের পূর্বে তার উপর হামলা চালায় আপন চাচাতো ভাই দবির মিয়া, দবির মিয়ার স্ত্রী লাভলী বেগম, চাচা শিহাব মিয়া সহ লোকজন। নিজ বাড়ীতেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার পরপরই হাজী মোস্তফা আনোয়ার এনামকে সিলেটের পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর থেকেই তিনি হাসপাতালের আইসিইউ-তে ছিলেন। ১৯ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থী হাজী মোস্তফা আনোয়ার এনাম। এদিকে হামলার ঘটনার একদিন পর ১৫ মে মোস্তফা আনোয়ার এনামের ভাই মোস্তফা জোবায়ের বাদী হয়ে ছাতক থানায় ১০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলাটি শেষপর্যন্ত হত্যা মামলা হিসাবে নেয়া হয়েছে। এনামের মৃত্যুর আগে হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়েরের আগে ১৩ মে ঘটনার রাতে দু'জনকে আটক করেছে পুলিশ। পরবর্তীতে তাদের হত্যামামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত আরো ৩ আসামী আদালতে হাজির হলে আদালত ৩ জনের জামিন নামঞ্জুর করেন। ৩ দিন পর আদালত থেকে জামিন নিয়ে বেরিয়ে আসেন জমির আলী মোল্লা। এরপর থেকে পুলিশ কোনো আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি বা গ্রেফতারের চেষ্টা করতেও দেখা যায়নি। ২৫ মে আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে নোয়ারাই বাজারেও এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। নিহতের ভাই, মামলার বাদী মোস্তফা জোবায়ের জানান, হত্যাকান্ডের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে পুলিশ আসামি গ্রেফতারে কোনো পদক্ষেপ নেয় নি। পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকার কারণে মামলায় ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকা করছেন তিনি এবং আরও বলেন পুলিশের নাকের ডগায় আসামীরা ওপেন ঘুরে বেড়াচ্ছে।##
Copyright © 2024 নগর সংবাদ. All rights reserved.