সিলেট ৮ দফা দাবীতে রেলপথ অবরোধ সাধারণ যাত্রীদের ধাওয়া পালালেন অবরোধ কারীরা।
সিলেট প্রতিনিধি।।
জরুরি সংস্কারসহ আট দফা দাবিতে সিলেট রেলস্টেশন রেলপথ অবরোধকারীদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। সকাল থেকে কুলাউড়া স্টেশনে সিলেট-ঢাকা রেলপথ অবরোধ করে রাখা হয়েছে।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া স্টেশনে রেললাইন অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা।
সিলেট রেলস্টেশন ব্যবস্থাপক মো. নুরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সকালে সিলেটে রেলপথে ৬/৭ জন অবরোধকারী দাঁড়িয়ে ট্রেন আটকানোর চেষ্টা করলে যাত্রীরা ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেন। কুলাউড়ায় রেলপথ অবরোধ করে রাখা হয়েছে।
অবশ্য সিলেট থেকে সবগুলো ট্রেন ছেড়ে গেছে। ঢাকা থেকে আসা পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন বিলম্বিত হতে পারে বলেও জানান তিনি।
জরুরি সংস্কারসহ আট দফা দাবিতে সিলেট রেলস্টেশন রেলপথ অবরোধকারীদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। তারা রেললাইনে গিয়ে অবস্থান নিলে যাত্রীদের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যান।
৮ দফা দাবি বাস্তবায়ন আন্দোলন’ কমিটির ব্যানারে পালিত হচ্ছে এই আন্দোলন-কর্মসূচি।
দাবি বাস্তবায়ন আন্দোলন’ কমিটির সমন্বয়ক আজিজুল ইসলাম জানান, তাদের শান্তিপূর্ণ রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি চলছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে কমিটির সমন্বয়ক আজিজুল ইসলাম ও মুখ্য সমন্বয়ক আতিকুর রহমান আখই এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আন্দোলনকারীরা জানান- দীর্ঘদিন ধরে সিলেট অঞ্চলের রেলপথের বেহাল অবস্থা। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে ও সিলেট-ঢাকা রেলপথে যাত্রীসেবার মানোন্নয়নের দাবিতে গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর কুলাউড়ায় অবস্থান ধর্মঘট চলাকালে আন্দোলনকারীরা ট্রেন আটকালে রেলওয়ের ঢাকা অঞ্চলের ডিআরএম ১৫ দিনের মধ্যে আলোচনার আশ্বাস দেন। এরপর ১০ অক্টোবর কুলাউড়া জংশন স্টেশনের ভিআইপি ওয়েটিং রুমে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন রেলওয়ের ঢাকা অঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (ডিআরএম) মো. মহিউদ্দিন আরিফ।
বৈঠকে কর্তৃপক্ষের দেওয়া আশ্বাসে সন্তুষ্ট না হয়ে আন্দোলনকারীরা ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। এর মধ্যে দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হওয়ায় পূর্বঘোষিত আজ ১ নভেম্বর অবরোধ-কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
৮ দফা দাবি হচ্ছে, সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-কক্সবাজার রুটে দুটি স্পেশাল ট্রেন চালু; আখাউড়া-সিলেট রেলপথ সংস্কার ও ডাবল লাইন বাস্তবায়ন; আখাউড়া-সিলেট সেকশনে অন্তত একটি লোকাল ট্রেন চালু; আখাউড়া-সিলেট সেকশনের সব বন্ধ স্টেশন পুনরায় চালু; কুলাউড়া জংশন স্টেশনে বরাদ্দকৃত আসনসংখ্যা বৃদ্ধি; কালনী ও পারাবত ট্রেনের যাত্রাবিরতি প্রত্যাহার; শিডিউল বিপর্যয় রোধে ত্রুটিমুক্ত ইঞ্জিন ব্যবহার ও যাত্রী চাহিদা অনুযায়ী প্রতিটি ট্রেনে অতিরিক্ত বগি সংযোজন