চট্টগ্রাম -৪ সীতাকুণ্ড সংসদ আকবর শাহ থানা এলাকায় বেআইনী অবৈধ ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় এবং রাস্তা নির্মাণের সময় মাটি চাপায় তিন শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃর্ত্যু ঘটে, বহুল সমালোচিত আকবর শাহ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।সড়ক করার নামে বেআইনী অবৈধ ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড় কাটার সময় পাহাড় ধসে মাটিচাপা পড়ে তিনজনের লোমহর্ষকনমৃত্যু হয়েছে।আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (৭এপ্রিল) বিকেল পৌঁনে ছয়টার দিকে আকবর শাহ থানার বেলতলী ঘোনা এলাকার এ ঘটনা ঘটে।নিহতদের মধ্যে খোকা (৪৫) নামে এক যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে।বাকী আহত ও নিহতদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- শুক্রবার ইফতারের পূর্বমুহূর্তে আনুমানিক বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে আকবর শাহ মাজারস্থ বেলতলী ঘোনা নামক এলাকায়য় শ্রমিকরা পাহাড়ের মাঠি কাটার সময় পাহাড় ধসে বেশ কয়েকজন মাটি চাপা পড়ে।তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর তিনজন কে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষনা করে। এদিকে পাহাড় ধসের খবর পেয়ে সন্ধ্যা ৭টায় ঘটনাস্থলে যান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার তৌহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র কর্মকর্তা এনামুল হক। তিনি বলেন, পাহাড়ের মাঠি ধসে হতাহতের খবর পেয়ে ‘আমরা উদ্ধারে কাজ করছি।হতাহতের সংখ্যা এখনও জানানো যাচ্ছে না।এখনো কয়েকজন আটকে পড়ে আছে। একজনকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্যঃ এর আগে গত ১১ফেব্রুয়ারি একই জায়গায় রাস্তা করার জন্য অভিযান চালিয়েছিল জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে পাহাড় কাটা হচ্ছে এমন অভিযোগে পাহাড় কাটার দায়ে মো.শাহজাহান (৪০) নামে একজনকে ৭দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া ও ব্যবহৃত একটি এস্কেভেটরও জব্দ করা হয়। অভিযানে অংশ নেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হাসান আহমেদ ও আকবরশাহ থানার সাব ইন্সপেক্টর আলাউদ্দিন। উল্লেখ্য যে উক্ত এলাকায় সড়ক ও ড্রেন নির্মাণের কাজে পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ছাড়পত্র নেয়া হয়নি এমনকি সিডিএর কোন প্ল্যান নেয়া হয়নি। স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ চসিকের কিছু অসাধু প্রকৌশলী ও কমিশনার যোগসাজশে প্লট বানিজ্যের নামে ঐ এলাকায় চলছে পরিবেশ ধ্বংস করে পাহাড় কেটে প্লট বরাদ্দ।এই সব বিষয়ে নামে মাত্র পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের অভিযান পরিচালিত হলেও প্রকৃত কোন সুফল পাওয়া যায়না। সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর,আকবরশাহ, জঙ্গল লতিফপুর পাহাড় কাটা যেন ওপেন সিক্রেট।পরিবেশ অধিদপ্তরের খুব কাছেই এসব চললেও তারা দেখে ও না দেখার ভান করছেন অজ্ঞাত কারনে।