কলকাতার একাডেমি অফ ফাইন আর্টসে, একটি সুন্দর ভিসু্য়াল আর্ট এর উপর চিএ প্রদর্শনী শুরু করেছিলেন, এই গ্রুপে আটজন শিল্পী অংশ নেন, এবং তাদের চিত্র তুলে ধরা হয় প্রদর্শনীর মাধ্যমে, এবং দর্শকদের মন জয় করে নেয়, তাদের এই চিত্রগুলি দেখে। এই প্রদর্শনী শুভ সূচনা হয় ১২ সেপ্টেম্বর, প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে ছিলেন, ফিল্ম ডিরেক্টর অনেক দত্ত সহ অন্যান্যরা, এই পদর্শনী চলবে ১২ই সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আর আজ তারই শেষ দিন, প্রতিদিন দর্শকদের জন্য দুপুর দুটো থেকে রাত্রি নটা পর্যন্ত দেখার সুযোগ ,
সকল অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে এবং ফুলের তবক দিয়ে সম্মানিত করেন, কিন্তু আজ আরও বেশি দর্শকদের মন জয় করল ভিড়ে এবং তাদের মতামতের উপর, একদম গ্রাম পরিবেশ থেকে উঠে আসা এই আটজন শিল্পী তাদের যে শিল্পকলা তুলে ধরেছেন সত্যিই একটু আলাদা, এবং গ্রাম বাংলা থেকে শুরু করে শহর বেশ কিছু তারা শিল্পীর মধ্য দিয়ে মানুষকে সোজা করার চেষ্টা করলেন ইদানিং যা ঘটছে এবং সাধারণ মানুষের যেগুলি খুব প্রয়োজন হয়ে পড়ে তা চিত্রের মধ্যে ফুটিয়ে তুললেন। কেউ ছোট্ট ছোট্ট কাগজ দিয়ে তার চিত্রকে এমন ভাবে ফুটিয়ে তুললেন, যেখানে সত্যি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে,। আবার কোন শিল্পী শহরে যে সকল দূষণ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে এবং যে সকলের মাধ্যমে দূষণ ঘটে চলেছে ও মানুষের রোগ জ্বালা সৃষ্টি হচ্ছে, এই চিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন, সত্যিই কল্পনীয়
, শিল্পীরা পারে তাদের শিল্প দিয়ে মানুষকে বুঝিয়ে দেওয়ার এবং পরিবেশকে বুঝিয়ে দেওয়ার, তাই তারা পরিবেশের উপর জোর দিয়েছেন ও গ্রাম ও শহরের পরিবেশকে সবার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে আর শিল্পীরা বলেন, সরকার অনেক কিছুই করছেন ,অনেক সংস্থার পাশেই দাঁড়িয়েছেন,
কিন্তু যদি এইরকম শিল্পীদের পাশে আরেকটু নজর দেন এবং পাশে দাঁড়ান, হয়তো অনেক কিছুই শিল্পীরা করতে পারে, উৎসাহ পায় , যারা আর্থিকভাবে দুর্বল, শিল্পী হয়েও এগোনোর ক্ষমতা নাই ,তারা উপকৃত হবেন।। এগিয়ে চলতে পারবে, যে সকল শিল্পী এই প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেছিলেন তারা হলেন অভিজিৎ সর্দার, অমিত চক্রবর্তী,
আনন্দ আঢ্য, দেবাশীষ সরকার, রথীন দে, সৌম্যদীপ দাস, এস বাসু পান্ডে, এবং সুখেন্দু রায়,, যারা অত্যন্ত গ্রামে থেকেও এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন এবং নিত্য নতুন কিছু করার প্রচেষ্টা করছেন, আজ এক অতিবয়স্ক মহিলা চিএ শিল্পী ,যিনি নিজেও একজন শিল্পী তিনি এই পদর্শনী পরিদর্শন করতে এসে বললেন।
সত্যিই শিল্পীরা কি না পারে, আর এই প্রদর্শনীতে যেভাবে সাধারণ মানুষকে সজাগ করছেন চিত্রের মধ্য দিয়ে ,ছবির মধ্য দিয়ে আমি প্রশংসার না করে চুপ করে থাকতে পারলাম না, এই সকল শিল্পীরা আরো এগিয়ে যাক। এই কামনাই করব।