নগর সংবাদ।।নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে নিখোঁজের আটদিন পর ফয়সাল আহম্মেদের মরদেহ উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন। উপজেলার বাগমুছা এষিপাড়া থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব ১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা এ তথ্য জানান।
এর আগে ২৬ জানুয়ারি রাতে সোনারগাঁও থেকে ফয়সাল আহম্মেদ নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের দুই দিন পর তার মামা মো. মানিক সোনারগাঁও থানায় জিডি করেন। জিডির সূত্র ধরে র্যাব-১১ ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ৪ জানুয়ারি ভোরে অভিযান চালিয়ে সোনারগাঁও থানার বাগমুছা এষিপাড়া এলাকার একটি পুকুর হতে ফয়সাল আহম্মেদের মরদেহ উদ্ধারসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুইজনকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, বাগমুছা ঋষিপাড়ার তপন চন্দ্র দাসের ছেলে অপূর্ব চন্দ্র দাস (১৯) ও একই এলাকার নিতাই চন্দ্র দাসের ছেলে তপু চন্দ্র দাস ওরফে অপু (২৫)। তারা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা।
প্রাথমিক অনুসন্ধান ও আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, পূর্বশত্রুতার জেরে তাকে পরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছে। গত ২৬ জানুয়ারি রাতে আসামি অপূর্ব চন্দ্র দাস ফোনে ভিকটিমকে দেখা করতে বলে। ভিকটিম অপূর্বের সঙ্গে দেখা করতে গেলে অপূর্ব ভিকটিমকে জরুরি কথা আছে বলে তার বাড়ির পাশে থাকা উঁচু জমিতে নিয়ে যায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ভিকটিমের সঙ্গে কথা বলার এক ফাঁকে আসামি অপূর্ব তার হাতে থাকা দড়ি দিয়ে ভিকটিমের গলা পেঁচিয়ে ধরে এবং তার বুকের ওপর চড়ে বসে। এ সময় ভিকটিম চিৎকারের চেষ্টা করলে অপর আসামি অপু ভিকটিমের পা দড়ি দিয়ে বাঁধে এবং মুখ চেপে ধরে। পরবর্তীতে মৃত্যু নিশ্চিত হলে দুজন মিলে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে তাদের বাড়ির অদূরে ঝোঁপের মধ্যে থাকা পুকুরে কচুরিপানার নিচে লাশ ডুবিয়ে দেয়।