নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে খালপাড় থেকে রতন নামে এক যুবককে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি ইয়ানুছকে (৪০) কুড়িগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র্যাব-১১।
এর আগে গতকাল কুড়িগ্রাম সদর থানার পাচগাছি হারুগারা ইউনিয়নের আরাজী এলাকা থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১। ইয়ানুছ (৪০) রূপগঞ্জ থানার বরাব মুগড়াকুল এলাকার মৃত নবুর ছেলে।
গ্রেপ্তার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামি ও ভিকটিম পূর্বপরিচিত। তারা দুজনই একই এলাকার বাসিন্দা ও মাদক ব্যবসায়ী হওয়ায় মাঝে মাঝে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাদের বিরোধ হতো। এরই প্রেক্ষিতে ২ বছর আগে ভিকটিম ও আসামির মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে এবং ভিকটিম আহত হয়। হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিন আগে আবার ভিকটিম ও আসামির মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে আসামি ইয়ানুছ (৪০) ভিকটিমকে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী এজাহারনামীয় ৩নং আসামি হাসেম (৪০) ও ৪ নং আসামি ইলিয়াছ (৩০) এর সহযোগিতায় ঘটনার গত ১৭ জুন ভোরে ভিকটিমকে ডেকে নিয়ে মারধর করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করা হয়। এরপর আসামিরা ভিকটিমের গলা ও হাত-পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে। ওই হত্যাকাণ্ডে মোট আটজন অংশ নেয়। তারা ভিকটিমের লাশ খালে ফেলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ঘটনার পর থেকেই প্রধান আসামি ইয়ানুছ পলাতক ছিল, গ্রেপ্তারের আগে সে কুড়িগ্রামে আত্মগোপন করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে আরো স্বীকার করে যে গ্রেপ্তার এড়াতে সে পাশের দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল।
এর আগে গত ১৭ জুন মঙ্গলবার সকালে সোনারগাঁও উপজেলার ভারগাঁও এলাকার ওলামা নগর খালপাড় বেড়িবাঁধের পূর্ব পাশ থেকে রতন (৩৮) নামে এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত রতন নারায়ণগঞ্জ জেলার কাঁচপুর এলাকার মো. মালেক মোল্লার ছেলে। তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সোনারগাঁয়ের নাওড়া বিটা এলাকার দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, সকালে খালপাড় এলাকায় রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে সোনারগাঁও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
গ্রেপ্তার আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।