সোনারগাঁয়ে জয়নুল জন্মোৎসব-২০২৫ ও পাঁচ দিনব্যাপি মেলার শুভ উদ্বোধন
সোনারগাঁ নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁযে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন চত্বরে পাঁচ দিনব্যাপী জয়নুল জন্মোৎসব আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়েছে।
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ১১১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জন্মোৎসবের আয়োজন করেছেনবাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন কতৃপক্ষ।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে ফাউন্ডেশনের লোকজ মঞ্চে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে জয়নুল জন্মোৎসব-২০২৫ উপলক্ষে ৫ দিনব্যাপি মেলার অনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)
মোহাম্মদ তৌফিকুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মহিবুল্লাহ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন ( চলতি দায়িত্ব) , আরো উপস্থিত ছিলেন, লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের গবেষণা বিষয়ক কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক মাসুদ, বিভিন্ন কারুশিল্পীবৃন্দ, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ সহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।
মেলায় জামদানি, শীতল পার্টি, শতরঞ্জি, নকশিকাঁথা, বাঁশ দিয়ে তৈরি শিল্প -বেতশিল্প, কাঠের তৈরি হাতি-ঘোড়া, ঐতিহ্যবাহী রিকশাচিত্র, হাতপাখা, শখের হাঁড়িসহ নানা হস্তশিল্পের ১৭টি স্টল রয়েছে । প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত লোকজ মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এ ছাড়া বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক
পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে তিনটি গ্রুপে
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্পবিষয়ক চিত্রাঙ্কন

প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেয়া হয় । আগামী ২ জানুয়ারি মেলা শেষ হবে।
জয়নুল আবেদিন ১৯১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর
তৎকালীন বৃহত্তর ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জে
জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা তমিজউদ্দিন আহমদ
ছিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। মা জয়নাবুন্নেছা
খাতুন গৃহিণী। নয় ভাই-বোনের মধ্যে জয়নুল
আবেদিন ছিলেন সবার বড়। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছবি আঁকতে পছন্দ করতেন। জয়নুল আবেদিনের আগ্রহ দেখে তার মা নিজের গলার হার বিক্রি করে ছেলেকে কলকাতার তখনকার আর্ট স্কুলে ভর্তি হতে সাহায্য করেন। জয়নুল আবেদিন ১৯৩৩ থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত কলকাতার সরকারি আর্ট স্কুলে পড়েন। ১৯৩৮ সালে ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং ডিপার্টমেন্ট থেকে প্রথম হয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তার উদ্যোগে ১৯৪৮ সালে পুরান ঢাকার জনসন রোডের ন্যাশনাল মেডিকেল স্কুলের একটি জীর্ণ কক্ষে গভর্নমেন্ট আর্ট ইনস্টিটিউট স্থাপিত হয়। তিনি এর প্রথম শিক্ষক ছিলেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর একই প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বাংলাদেশ চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়’।