নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মফিজুর রহমান রতন নামে এক দলিল লেখককে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যাচেষ্টা মামলার সাক্ষী ওমর ফারুককে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন আসামিরা।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ওমর ফারুক।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় সোনারগাঁয়ের মুন্দিরপুর গ্রামে তার বাড়ির সামনে এসে আসামিরা হুমকি দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা জিডি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মুন্দিরপুর গ্রামে গত শনিবার বিকেলে জমি সংক্রান্ত একটি বিচার সালিশ বৈঠক বসে। সালিশি বৈঠক থেকে ফেরার পথে সোনারগাঁ সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক মফিজুর রহমান রতন তার মামা ওমর ফারুকের বাড়িতে যান। আগে থেকে ওত পেতে থাকা রাসেল আহমেদ খোকনের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি দল তার ওপর হামলা করে।
এ সময় ওমর ফারুক হামলাকারীদের বাধা দিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে দলিল লেখক রতনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে হামলাকারীরা। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় রতনের বড় ভাই মহসিন ভূঁইয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ওমর ফারুককে সাক্ষী করা হয়।
গত বুধবার বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে ৪-৫টি মোটরসাইকেল যোগে রাসেল আহমেদ খোকনের নেতৃত্বে পুনরায় মুন্দিরপুর গ্রামের মান্নানের ছেলে কালু, মাঝের চর গ্রামের রিপনের ছেলে তামিম, একই গ্রামের নূর হোসেনসহ ৭-৮ জনের একটি দল ওমর ফারুকের বাড়ির সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে মামলায় সাক্ষী না দেওয়ার জন্য হুমকি দেন তারা। সাক্ষী দিলে ওমর ফারুক ও তার পরিবারের লোকজনকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে বৃহস্পতিবার সোনারগাঁ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন ওমর ফারুক। তিনি বলেন, আসামিরা খুবই খারাপ প্রকৃতির। আমার একটি বিবাহযোগ্য মেয়ে রয়েছে। আমার বাড়িতে এসে তারা মামলায় সাক্ষী না দিতে হুমকি দিয়েছেন। রূপগঞ্জ থেকে সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনে আমাকে বাড়ির সামনে প্রাণনাশের হুমকি দেন। নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে জিডি করেছি।
সোনারগাঁ থানার ডিউটি অফিসার মুহাম্মত রফিকুল ইসলাম জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাধারণ ডায়েরি নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।