নগর সংবাদ।।আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আব্দুল করিম (৬৫) নামের আহত এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান। মৃত আব্দুল করিম উপজেলার বারদী ইউনিয়নের বারদী সেনপাড়া গ্রামের মৃত ইছমত সরকারের ছোট ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বারদী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল হক ও নাজমুল হক গ্রুপের সঙ্গে জাকির সরকার ও ইব্রাহিম ইবু গ্রুপের বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে ১৩ এপ্রিল বুধবার সকালে জহিরুল হক ও নাজমুল গ্রুপের সমর্থকরা তাজুল ইসলাম প্রতিপক্ষ জাকির গ্রুপের হাসানকে মারধর করেন। এ নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এক পর্যায়ে জাকির সরকার ও ইব্রাহিম ইবু ঘটনাস্থলে এসে এ বিষয়ে জানতে চাইলে জহিরুল হক ও নাজমুলের লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়। পরে উভয় গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লোহার রড, টেঁটা, রামদা, লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। দফায় দফায় এ সংঘর্ষে জাকির সরকার, তার চাচা আব্দুল করিম, জামাল, মাসুম সরকার, বাসেদ সরকার, মামুন সরকার, সামসুল, হুমায়ুন সরকার ও হাসান এবং জহিরুল পক্ষের তাইজুল ইসলাম, হযরত আলীসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। এদের মধ্যে জাকির ও ইবু গ্রুপের আব্দুল করিম সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ছাড়পত্র পেয়ে বাড়িতে চলে যান।
অবস্থার অবনতি হলে বুধবার আবারো তাকে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, আব্দুল করিম নামে একজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এ বিষয়ে থানায় এখনও পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।