সোমবার (১ নভেম্বর) দুপুরে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলেন, প্রেমিকা তাহমিনা ও বন্ধু রহমত আলী। তাদের কাছ থেকে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে রোববার রাতে উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের পাকুন্ডা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে ছুরিকাঘাতে আহত হন নবকুমার সাহা। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে রাতে তার মৃত্যু হয়।
নিহত নবকুমার সাহার নরসিংদীর হাজীপুরে গ্রামের নারায়ণ সাহার ছেলে। তিনি রূপগঞ্জের বান্টি বাজারে একটি থ্রি পিছের শো রুমের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সোনারগাঁয়ের তালতলা তদন্ত কেন্দ্র পুলিশের পরিদর্শক ইকবাল হোসেন বলেন, নবকুমার সাহার সঙ্গে তাহমিনার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। নবকুমার সাহা হিন্দু আর তাহমিনা মুসলিম। আর তাই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক নবকুমার সাহার বাড়ির লোকজন মেনে নেয়নি। এ নিয়ে তার পরিবারের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। রোববার সন্ধ্যা ৭টায় মোটরসাইকেলযোগে কর্মস্থল থেকে মদনপুর বন্ধু রহমত আলীর কাছে যাচ্ছিলেন। পথে এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের জামপুর ইউনিয়নের পাকুন্ডা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে আসলে তাকে ছুরিকাঘাতে আহত করে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় দুজন ব্যক্তি তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রূপগঞ্জের গাউছিয়ায় আল রাজী হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান।
তিনি আরও বলেন, নবকুমারকে ঢামেকে নেওয়ার আগেই প্রেমিকা তাহমিনা রাজধানীর মহাখালী থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলে যান। তাহমিনাই মূলত নবকুমার সাহাকে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত নবকুমার সাহার প্রেমিকা তাহমিনা ও বন্ধু রহমত আলীকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে।
নিহতের ছোট ভাই শুভ সাহা বলেন, ঘটনাটি রহস্যজনক। আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। মরদেহ সৎকারের পর সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করবো।