নিজস্ব সংবাদদাতাঃ - নারায়ণগঞ্জ জেলা সোনারগাঁ থানাধীন দাসনাগাঁও মৌজার ১৪৯ শতাংশ দ্বীফসলী জমির মাটি প্রতিদিনই রাতের আঁধারে দেশী বিদেশী অস্ত্রের মোহড়ায় সন্ত্রাসী ফয়সাল গংদের অন্যের জমিতে অবৈধভাবে জোড় পূর্বক মাটি কেটে নিয়ে কৃষি জমিকে খাল বিলে পরিনত করে চলছে । জমির মালিকগন এ সকল মাটি খেকো সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সমাজের কারো সহযোগিতা না পেয়ে আইনের সহযোগিতা চেয়েও কোন প্রতিকার না পেয়ে দিশেহারা। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে যানা যায় যে, মো: ফয়সাল (৩২), পিতা- ছগির মেম্বার এবং রিয়েল (৩০), পিতা- ঝালেক ভূঁইয়া গং, সর্বসাং-পেরার, পো: মহজমপুর, সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জ। এবং আবুল হাসনাত ( ৩৫), পিতা- ফয়েজ মোল্লা, সাং- গজারিয়াপাড়, সোনারগাঁ। এদের নেতৃত্বে ৪০/৪৫ জনের একটি অপরাধী সংঘবদ্ধ চক্র রয়েছে। এ চক্রটি আমেনা বেগম, মোর্শেদা আক্তার হ্যাপীর ৪৫ শতাংশ দ্বিফসী জমি ও ৮ শতাংশ ভিটিবাড়ী এবং রেজাউল করিম মাখন, মামুন মোল্লা, মোশারফ এদের ৩০ শতাংশ দ্বিফসলী জমি রাতের আধারে অবৈধভাবে অস্ত্রের মোহড়া দিয়ে জোড়পূর্বক মাটি কেটে নিয়েও থেমে থাকেনি নতুন করে আরো ৯০ শতাংশ দ্বিফসলী জমির মাটি জোড়পূর্বক কেটে চলছে। সন্ত্রাসী মো: ফয়সাল (৩২) এবং রিয়েল (৩০) মাটি কাটার মুলহোতা এবং তাদের সাথে অজ্ঞাতনাম ৩০-৪০ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পাহাড়া দিয়ে প্রতিরাতে মাটি কাটে এবং এ বিষয়ে বাধা দিতে গেলে ভূক্তভোগীদের মেরে ফেলার হুমকি দেওয়াসহ গুলিবর্ষন করে ধাওয়া দেয়।
ফলে জমির মালিকগন জায়গায় যেতে পারছে না এবং ফসলী জমি ও ভিটিবাড়ীটি রক্ষা করতে পারছে না। এরা একের পর এক জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ভূক্তভোগিরা সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সোনারগাঁও থানায় লিখিত অভিযোগ করেও অদ্যবদি কোন প্রতিকার না পেয়ে নারায়গঞ্জ পুলিশ সুপারের বরাবর সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করেন বলে যানা যায় ন্যায় বিচারের আশায়।