বুধবার (৩১ মে) নগরীর শেরে বাংলানগর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর নিজ কক্ষে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
জনগণের প্রাপ্তি প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আমি এমন একটা জায়াগ থেকে এসেছি যেখানে ৭০ শতাংশ মানুষ গ্রামে বসবাস করে। আমার এলাকায় কোনো পৌরসভা নেই। সবাই গ্রামীণ ভোটার, চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে। গ্রামীণ মানুষ শান্তি চায়। গ্রামীণ মানুষ চায় যেন চোর-ডাকাতের সমস্যা না হয়। গ্রামের মানুষ শেখ মুজিবের কথা বলে। সোনার বাংলা ও শান্তির বাংলা চায়, গ্রামের মানুষ মারপিটের বাংলা চায় না।’
তিনি বলেন, ‘গরিব মানুষ জানে তাকে কাজ করে খেতে হবে। আমরা তাকে চাল-ডাল দেবো না। তবে কিছু নছিয়ত ও উপদেশ পাঠাবো। যেমন ডেমোক্রেসি খাও, মানবাধিকার খাও। ডেমোক্রেসি খেয়ে তাদের পেট ভরবে না। তারা (গ্রামের মানুষ) চায় চাল, ডাল চায় ও এক খানা ভাতার কার্ড। কাজের পরিবেশ চায়। হরতাল দিয়ে যেন সবকিছু বন্ধ না হয়, এটা তারা চায়। তারা কাজ করে খাওয়ার পরিবেশ চায়। আমি তাদের প্রতিনিধি, এ কথাগুলো সব জায়গায় আমি বলে বেড়াই।’
মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘কোভিডের কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়ে গিয়েছিল। এটা আবার আমরা ৯ এর নিচে এনেছি। আশা করি সামনে মূল্যস্ফীতি আরও কমবে, এটাকে আমাদের চাপে রাখতে হবে। দুটি পদ্ধতিতে মূল্যস্ফীতিকে আমরা চাপে রাখবো। অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়াতে হবে ও সরবরাহ বাড়াতে হবে। দোকানদার যেন স্বস্তি ফিল করে, সেই কাজ করবো। তেল আমদানিতে বড় ধরনের ডলার ব্যবহার হয়। অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসী ইমপোর্ট করতে দেওয়া হবে না। এসি ও ফ্রিজ আমরা আমদানি করবো না দেশে যা আছে তাই ব্যবহার করবো। ইমপোর্ট কমাবো।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ডাল, পেঁয়াজ ও তেল বেশি বেশি ইমপোর্ট করবো। নিত্যপণ্যের ট্রাক রেডি থাকবে। ট্রাক নিয়ে দ্রুত মালামাল দেশের নানা প্রান্তে পৌঁছে দেবো। মূল্যস্ফীতি কষ্টের বিষয়, এটা দ্রুত কমাতে হবে। তবে আমাদের আরও কিছুদিন সহ্য করতে হবে। সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে মূল্যস্ফীতি দমিয়ে রাখার জন্য।’
নির্বাচন সামনে রেখে বাজেটে উন্নয়নে কেমন চমক থাকবে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন আসবে পাঁচ বছর পরপর। আমরা ভোটে বিশ্বাস করি, এটা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই, যারা ভোট চায় না তাদের ভয় থাকতে পারে। পাঁচ বছর পরপর পরীক্ষা দিচ্ছি, এটা স্বাভাবিক বিষয়। বাজেট সম্বন্ধে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেই দিয়েছেন, বাজেটে মানুষকে খুশি করার জন্য কোনো প্রকল্প আমরা হাতে নেবো না। আমরা ওই প্রকল্প হাতে নেবো যেগুলোতে মানুষের কল্যাণ হবে।’
‘আমরা ওই প্রকল্প হাতে নেবো যেগুলো জনগণের কল্যাণে আসবে। আমরা লোক দেখানো ও চোখ ধাঁধানো প্রকল্প হাতে নেবো না। আমরা প্রকল্প নেবো দারিদ্র্য বিমোচনমূলক, উন্নয়নমূলক ও স্বাস্থ্যসেবামূলক। নির্বাচনী হাওয়া আছে নির্বাচনের জন্য, কিন্তু উন্নয়নের ধারা যেভাবে অব্যাহত আছে সেভাবেই থাকবে। উন্নয়নের কাজের ফলও ভালো পেয়েছি।’ যোগ করেন মন্ত্রী।