এলাকা পুরুষ শূন্য কুমিল্লার দেবিদ্বারে স্কুলছাত্রীকে যৌনহয়রানির অভিযোগে সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর থেকে এলাকায় পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। ঘটনার পর থেকে স্কুলটিতেও উপস্থিত হয়নি কোনো শিক্ষার্থী। স্থানীয়রা জানান, ঘটনার তিনদিন অতিবাহিত হলেও পুলিশের অব্যাহত অভিযানে এলাকার সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে রয়েছেন। জুমার নামাজে মুসল্লিদের উপস্থিতি কম ছিল। স্থানীয় মাশিকাড়া বাজারে দোকানপাট খুলেনি ব্যবসায়ীরা বুধবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় সংঘর্ষের পর থেকে মাশিকাড়া, শালতলা, পদ্মকোটসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামে আতঙ্ক বিরাজ করছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে আসামি করে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার দেখান।
পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি আরেকটি মামলা করে দেবিদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুক্তার আহমেদ মলি। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোকতল হোসেন, শাকতলা গ্রামের ডা. বশির আহাম্মেদ ভূঁইয়ার ছেলে লুৎফুর কবির ভূঁইয়া সোহাগ (৩১), আবুল কালাম আজাদ ভূঁইয়ার ছেলে মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া প্রকাশ জামান ডাক্তার (৪৮), মোখলেছুর রহমানের ছেলে আলী আশ্রাফ (৪৭), মৃত শরবত আলীর ছেলে মো. ছবুর (১৯), মাশিকাড়া গ্রামের মো. সেলিমের ছেলে শাহ পরান (৩০), মৃত মুসলিম উদ্দিনের ছেলে মো. ওয়াজকুরুনি (৩৫), হামলা বাড়ির মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম (৫০), পদ্মকোট গ্রামের মৃত জব্বার আলীর ছেলে মো. ইউনুছ (৩৬), আবুল কাশেমের ছেলে মো. জিয়াউর রহমান (৩২), হোসেনপুর গ্রামের মৃত আকরম আলীর ছেলে আব্দুল কাদের (৫৫), স্থানীয় ইউপি মেম্বর মমিনুল হক মুন্না (৪২), আওয়ামী লীগ নেতা আশেক এলাহী (২৭), আবুল হাসেম (৩২), ফয়সাল (২২), মামুন (৪২) ও সোলেমান (২৪)। এর আগে দেবিদ্বার উপজেলার মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক মো. মোকতল হোসেনকে অবরুদ্ধ করেন ছাত্রছাত্রীরা।
এসময় তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলসহ দুটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য তোফাজ্জল হোসেন বলেন, এ দুদিনে কোনো শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসেনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান কয়েকজন শিক্ষক মিলে উদযাপন করি। দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।